

সৌরভ হাওলাদার ,বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে রবিবার ৭ই সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিএম কলেজ শাখা শতভাগ আবাসন, জুলাই চত্বর নির্মাণ, বাকসু নির্বাচন, শিক্ষক সংকট নিরসন এবং ফ্যাসিবাদী কাঠামো অপসারণসহ ১৩ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক কাজী আশরাফুল ইসলাম হাসিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবির শাখার সভাপতি শাহেদ খান। এ সময় ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদকও বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।স্বারক লিপি গ্রহন করেন বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. তাজুল ইসলাম।
সভাপতি শাহেদ খান তার বক্তব্যে বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত। শত জুলুম-নিপীড়ন, গুম-খুন ও মিডিয়া সন্ত্রাসের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শিক্ষার্থীদের থেকে দূরে সরাতে চাইলেও ছাত্রশিবিরের ভিত্তি আরও মজবুত হয়েছে। কোটি তরুণের আস্থা ও ভালোবাসার নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।”
তিনি আরও জানান, জুলাই শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিএম কলেজ শাখা ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত একটি আধুনিক ক্যাম্পাস উপহার দিতে এই ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করছে।
১৩ দফা দাবির মূল বিষয়সমূহ:
ক্যাম্পাস থেকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কাঠামো অপসারণ এবং দৃষ্টিনন্দন “জুলাই চত্বর” নির্মাণ।
দ্রুত বাকসু নির্বাচন আয়োজন ও ছাত্র সংসদ ভবনের সংস্কার ও গঠনতন্ত্র সংশোধন।
শিক্ষার্থীদের অযাচিত ফি মওকুফ এবং ফি-সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
পরিসংখ্যান বিভাগকে মাস্টার্স পর্যায়ে উন্নীত করা এবং আধুনিক বিষয়সমূহ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন আবাসিক হল, কমনরুম, আলাদা ক্যান্টিন কর্নার এবং নামাজের স্থান সম্প্রসারণ।
সনাতন ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণ।
ক্যাম্পাসের মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার সংস্কার ও আধুনিকায়ন।
শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, বিজনেস ক্লাব, আইটি সেন্টার এবং শিক্ষক নিয়োগ বৃদ্ধি।
জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, খেলার মাঠ সংস্কার ও ক্যাম্পাস সৌন্দর্য বৃদ্ধি।
শিক্ষকদের আবাসন সুবিধা ও বহিঃপরীক্ষকদের জন্য গেস্ট হাউজ নির্মাণ।
অস্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থায়ী করা এবং সুবিধা নিশ্চিত করা।
নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের আলাদা বাস, আধুনিক টিএসসি, লাইব্রেরি, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণ।
মাদকমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ও বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে ছাত্রশিবিরের সভাপতি শাহেদ খান জানান, ১৩ দফা দাবির বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনটি ধারাবাহিক কর্মসূচি পরিচালনা করবে।