

আকরাম হোসেন নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ১৫ দিন পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪-এর একটি দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর র্কাযালয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪-এর অধনিায়ক মো. নয়মুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান এবং র্যাব র্কমর্কতা মো. নাজমুল হক।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. শাকিল মিয়া (২৩), মো. মমিন উদ্দিন (২৩) এবং জাহাঙ্গীর আলম (২৪)। তারা সবাই ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের পর তাদের নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, নান্দাইল উপজেলা অবস্থিত একটি গার্মেন্টসে কাজ করত ভুক্তভোগী কিশোরী (১৬)। তার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. মামুন মিয়ার। ওই কিশোরীকে অনৈতিক সম্পর্ক করতে তাগাদা দিয়ে আসছিলেন মামুন। এতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী।
পরে গত ১৮ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে গার্মেন্টস ছুটি হলে প্রেমিক মামুন রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে অটোরিকশায় করে কৌশলে গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল এলাকায় নিয়ে যান।
সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষারত ছিলেন প্রেমিক মামুনের বন্ধু মো. মমিন উদ্দিন (২৩), জাহাঙ্গীর আলম (২৪) ও শাকিল মিয়া (২৩)। তারা জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা গত ২২ জুলাই নান্দাইল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর র্যাব ছায়াতদন্ত চালিয়ে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা সদর ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, মূল হোতা মামুন মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক।