কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে বিভাগে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম: প্রকৌশলী রাজনের অধীনস্থ শ্রমিকদের কাজ না করেও বেতন উত্তোলনের অভিযোগ।


আকরাম হোসেন,নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে বিভাগের আওতাধীন ১১ নম্বর গ্যাং-সহ পুরো রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোঃ আনিসুজ্জামান রাজন। কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, দায়িত্বে অবহেলা, অকার্যকর তদারকি, কাজ না করেও কর্মচারীদের বেতন উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
১১ নম্বর গ্যাং-এ তালিকাভুক্ত ৯ জন কর্মচারীর মধ্যে নিয়মিত কাজ করছেন মাত্র ৬ থেকে ৭ জন। নাম মাত্র হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর থাকলেও অনেকেই বাস্তবে উপস্থিত নন। মজিবুর রহমান ও রুবেল মিয়ার নাম থাকলেও তারা শারীরিকভাবে অক্ষম ও অসুস্থ থাকায় কাজে অংশ নিচ্ছেন না—এমন দাবি গ্যাং ইনচার্জ আজিজুল ইসলামের। তবে তাদের নামে মাসে মাসে বেতন উত্তোলন চলছে।
গত ১২ জুলাই আঠারোবাড়ি রেলস্টেশনের পূর্ব পাশে বনগাঁও সরেজমিনে দেখা যায়, ৯ জনের মধ্যে কাজ করছেন মাত্র ৬ জন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী মেইট আজিজুল বলেন, “দুজন অসুস্থ, একজন ছুটিতে। মাঝে মাঝে মজিবুর এবং রুবেলের পরিবর্তে তাদের স্বাজনরা এসে কাজ করে।” কিন্তু এমন ‘অস্থায়ী ও অপ্রমাণযোগ্য’ কর্মদানের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ।
অভিযোগ রয়েছে, এসব অনিয়ম আনিসুজ্জামান রাজনের সরাসরি মদদে চলে আসছে। রেল কর্মচারীদের থেকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে হাজিরা খাতা ঠিক রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।