জবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯

জবি প্রতিনিধি: বিএনপি পন্থি সাদা দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই আগামীকাল ২৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার জব শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী পন্থি নীল দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্যানেল ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে নেমেছে। সাদা দল নির্বাচনে না এলেও তাদের তালিকাভুক্ত ১০৯ টি ভোট এবার জয় পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ নিয়ে নীল দলের দুই গ্রুপের মধ্যে উদ্বেগ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে আ.লীগ পন্থি নীলদলের দুই গ্রুপের শিক্ষকরা । প্রার্থীরা একত্রে প্রত্যেক বিভাগে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। এবার নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদে একজন করে এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ১০ জনসহ মোট ১৫টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৬৫৪ জন। এবার সাদা দলের ১০৯ জন সদস্য নির্বাচনে ভোটার তালিকায় আছে। মাঠে নিস্ক্রিয় থাকলেও ভেটের মাঠে সক্রিয় থাকবে বলে জানা যায়।

নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মোশারফ হোসেন। আওয়ামী পন্থী নীল দলের (একাংশ) সভাপতি ড. আইনুল ইসলামের পক্ষ থেকে জাকীর-আলীম প্যানেল ঘোষণা করেছেন। অপরদিকে নীলদলের (অপর অংশ) সভাপতি ড. জাকারিয়া মিয়ার পক্ষ থেকে প্যানেল ঘোষণা করেছেন  দীপিকা-নূর।

জাকীর-আলীম প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম, সহ-সভাপতি ড. রবিন্দ্রনাথ মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান।

এছাড়াও সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ড. মো আইনুল ইসলাম, ড. এ.কে.এম. মনিরুজ্জামান, ড. মোঃ আব্দুল হোসেন, ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম , ড.এ.কে.এম. লুৎফর রহমান, ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক, মোঃ কামাল হোমেন, গৌতম কুমার সাহা ও আব্দুল আউয়াল।

দীপিকা-নূর প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাসছুল কবীর এবং সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ড. মো গোলাম মোস্তফা, ড. মো মনিরুজ্জামান খন্দকার . ড. মনিরা জাহান, ড. আব্দুস সালাম, নিয়াজ আলমগীর, রাবিতা সাবাহ,  মোবারক হোসেন,  মিতু কুন্ডু, মাসুদ রানা ও মেফতাহুল হাসান নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে সাদা দলের শিক্ষকদের ভোট নিয়ে নীল দলের দুই গ্রুপের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সাদা দলের শিক্ষকরা যাকে নির্বাচন করতে চাইবে তারাই নেতৃত্বে আসবে। তিনি বলেন, এবার ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব চান শিক্ষকরা যারা শিক্ষকদের দাবি আদায়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। অপরাজনীতি থেকে বেড়িয়ে এসে সঠিকভাবে যারা নেতৃত্ব দিতে পারবে, তাদেরকেই নির্বাচিত করবেন শিক্ষকরা ।

এদিকে আ.লীগ পন্থি শিক্ষদের আদর্শ এক হলেও ভিন্ন মতের কারণে তাদের মাঝে রেষারেষি চলছে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের দু’গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে। সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত নীল দলের (এক অংশের) সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম ও জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত নীল দলের (অপর অংশ) নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া।

নীল দলের বিভাজন নিয়ে উপাচার্যের হাত আছে বলে গুঞ্জন আছে। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকারা। নীলদলেরে (একাংশ) জাকীর-আলীম প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শক্তি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য কাজ করে যাব।’

নির্বাচন নিয়ে নীলদলের (অপর অংশ) দীপিকা নূর প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রাথী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা জয়লাভ করলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মানসম্মত আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও শিক্ষকদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করব।’

মন্তব্য করুন