শিশুসহ ৩ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, এএসআই আটক

প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২১

কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে শিশুসহ তিন জনকে হত্যার ঘটনায় সৌমেন মিত্র নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) আটক করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর নৈতিক সম্পর্কের কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের কাস্টমস মোড় এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শাকিল (২৮), আসমা (২৫) এবং রবিন (৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন।

কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে শাকিলের সঙ্গে কুমারখালী উপজেলার আসমা তথা এএসআই সৌমেনের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সৌমেন ও আসমার ছেলে শিশু রবিন।

জানা যায়, আটক সৌমেন বর্তমানে খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় আজ সকাল ১১টার দিকে প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা ও রবিনকে এলোপাথারি গুলি করেন সৌমেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আসমা। আর বাকি দুই জনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল ও রবিন মারা যায়। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা ধারণ করছেন, শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সেটা জেনে যাওয়ায় সৌমেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আসমার মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। অভিযুক্তকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, হামলার ঘটনার পরই একজনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে তারা। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন