
এম.এস আরমান,নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারীতে সন্তানদের অবহেলায় প্রায় ১০ বছর ধরে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে পুকুর পাড়ে থাকেন বৃদ্ধ দম্পতি। খবর পেয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে এসে ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর।
আজ (১১ মে) মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় চরহাজারী ২ নং ওয়ার্ডস্থ তরু বালা মজুমদার ও তার স্বামী মতিলাল মজুমদারকে সরাসরি দেখতে এসে ঘর করে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তানের জনক এই দম্পত্বির এক ছেলে প্রভাসে এবং বাকি দুই ছেলে নিজ বাড়িতে ভালো পরিবেশে পরিবার নিয়ে বসবাস করলেও মা বাবার জন্য তাদের কাছে থাকার ব্যবস্থা হয়নি বলে পুকুর পাড়ে ১০ বছর যাবত পালাস্টিকে ছাউনির নিচে বসবাস করছেন এই দম্পতি।
মতিলাল মজুমদার প্রায় ২০ বছর বসুরহাট পৌরসভায় পরিচ্ছন্ন কর্মী পোস্টে কাজ করেছেন। গত কয়েক বছর ভিজিডি কার্ডের চাল আর বয়স্ক ভাতার টাকা এবং মানুষের দেয়া সাহায্য দিয়ে চল্লেও ভাতার বয়স পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে বাদ পড়ে যান মতিলাল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে সাথে সাথে তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছিলাম। এছাড়াও তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের ঘর নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছি।তিনি আরো বলেন, শুধু রতি লাল বাবু নয় এমন অসহায় হতদরিদ্র সমাজে আরো অনেকেই আছেন যাদের পাশে সমাজের বিত্তবানরা দাড়ানো উচিত।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জের ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নের ১৭৪৫৫ পরিবারের জন্য ভিজিএফ ও জিআর হিসেবে যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নে তার বিতরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকৃত অসহায় মানুষ যাতে এই সহায়তা পান ইউপি চেয়ারম্যানদের সে ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে কোন মানুষই না খেয়ে থাকবেনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর।
এন.এইচ/