যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই কারাগারে

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২১
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইয়াবার মামলা থেকে রক্ষা পেলো এক যুবক। তবে যারা তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন উল্টো তারাই এখন আসামি।

শুক্রবার ঘটনার মূল হোতা জেলার নবীনগরের ধরাভাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ‘জুয়াড়ি ও মাদক ব্যবসায়ী’ জালাল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জানা যায়, গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুর গ্রামের মোহাম্মদ কবিরের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বপরিচিত পার্শ্ববর্তী উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. ফারুক ও জালাল নামের দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলের টাকা দেওয়ার কথা বলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এমপি টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় হোন্ডা ফারুককে। পরে চক্রটি সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন দিয়ে হোন্ডা ফারুকের পকেটে ২৯ পিস ইয়াবা দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এমনকি বুধবার সন্ধ্যায় ফারুক বাদী হয়ে জালাল ও হান্নানকে সাক্ষী করে একটি মিথ্যা এজাহার দেয়।

খবর পেয়ে হোন্ডা ফারুকের বন্ধুরা বিষয়টি নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকবল হোসেনকে জানান। বৃহস্পতিবার তদন্ত করে আসল ঘটনা উদঘাটন করেন। পরে জালালকে ডেকে জিজ্ঞসাবাদ করলে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেই হোন্ডা ফারুক বাদী হয়ে তাদের তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করে হাজতখানা থেকে বেরিয়ে আসেন।

আসামিরা হলেন-নবীনগরের ধরাভাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া, আফসার মিয়ার ছেলে মো. ফারুক ও জজ মিয়া মিয়ার ছেলে লালন মিয়া।

নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে যখন বেশ কয়েকজন জানালো একজন ভালো ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে, তখন তিনি এক অফিসারকে দায়িত্ব দেন সরেজমিনে গিয়ে ভালো করে তদন্ত করতে। পরে জানতে পারেন আসলেই জয়কালিপুরের ফারুককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। পরে জালালকে ডেকে এনে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন