সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম মানছে না ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১

গত সপ্তাহে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল ভোজ্যতেলের লিটার প্রতি সর্বোচ্চ দামের সীমা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু সেই দাম মানছে না আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। উল্টো সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের শুরুতে বাজারে প্রতিমণ সয়াবিনের দাম ৪ হাজার ৩০০ টাকার নিচে হলেও চলতি সপ্তাহের প্রথমদিন শনিবার তা ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ সরকার দামের সীমা নির্ধারণ করে দেয়ার পরও মণপ্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরকার নির্ধারিত দামে ১০৭ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মিলগেটে প্রতিলিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর মণ হিসেবে সরকার নির্ধারিত দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে।

অন্যদিকে, পামওয়েলের ক্ষেত্রে মিলপর্যায়ে সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটারের দাম ৯৫ টাকা এবং মণপ্রতি ৩ হাজার ৮৮৬ টাকা। কিন্তু বর্তমানে পাইকারিতে প্রতিমণ পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯৯০ টাকা এবং লিটার ৯৭ টাকা। অর্থাৎ মণে ১০৪ টাকা এবং লিটারে প্রায় আড়াই টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মেসার্স ইসমাইল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরেই দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্থির।

এর পেছনে আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিসহ আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ রয়েছে। অবশ্য কোম্পানির প্যাকেট কিংবা বোতলজাত পণ্যে নির্ধারিত দাম মানা হলেও মিলগেট কিংবা পাইকারি বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মন্তব্য করুন