

জাতীয় দুর্যোগ ও সঙ্কটকালীন সময়ে ওয়ায়েজ ও ইসলামী আলোচকদেরকে জমায়েত করে তাদের সামনে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করে সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করেছে রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ। ওয়ায়েজ ও ইসলামী আলোচকদের জাতীয় এই সংগঠনের কাছ থেকে এমন ভূমিকাই প্রত্যাশিত ছিল বলে অনেককে স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখেছি । الحمد لله الذى وفقنا لهذا وما كنا لنهتدى لولا ان هداناالله
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাবেতার বক্তব্য নির্দেশনা নিয়ে ঔৎসুক্য ছিল জাতীয় গণমাধ্যমেরও। আমি মনে করি, রাবেতার এই সম্মেলনটি একটি সফল ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হিসাবেই মূল্যায়িত হবে। কিছু বিষয়ের কোনো কোনো শূভাকাঙ্ক্ষী সমালোচনা করেছেন। এটাও একটা ইতিবাচক দিক। সমালোচনাগুলোকে গুরুত্বসহ অনুধাবন করতে হবে এবং প্রয়োজনে আগামীর জন্য নোট রাখতে হবে। সম্মেলনে রাবেতার পক্ষ থেকে তিন দফা সম্বলিত ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়-
১) নানা অজুহাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ মাহফিল সমূহে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা ও প্রশাসনিক বাধা তুলে নিয়ে নির্বিঘ্নে মাহফিল আয়োজনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
২) আলোচক ও ওয়ায়েজদেরকে দেশের সার্বিক অবস্থার দিকে লক্ষ রেখে বয়ান পেশ করার আহ্বান জানাচ্ছে রাষ্ট্র , সংবিধান ও সরকারের সাথে সরাসরি সংঘাতমূলক আলোচনা পরিহার করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে ৷ সরকারী ও প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপবিষয়ে সমালোচনা করতে হলে উপদেশমূলক আন্তরিক ও কল্যাণকামিতার ভাষায় উপস্থাপন করবেন ৷
৩) মাহফিলেরশ্রোতা ও স্থানীয় জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যে, কোথাও কোনো আলোচনায় আপত্তি হলে উপস্থিত বাদানুবাদে না জড়িয়ে স্থানীয় আলেমদের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন ৷
লেখাটি আল্লামা মামুনুল হকের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
আই.এ/