

করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ এনেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে চীন। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তেই দরজা খুলেছে বেইজিংয়ের হোটেল রেস্তোরাঁর।
ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন বছর পার করতে হচ্ছে উল্লেখ করে যে কোন মূল্যে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার দিকেই এখন নজর, রেস্তোরাঁ মালিকদের। নতুন সাজে রেস্তোরাঁ; বেলুনে লেখা স্বাগতম। উত্তপ্ত চুলায় রান্না হচ্ছে ভোজনরসিকদের পছন্দমতো নানা ধরনের খাবার।
দীর্ঘ ১০ মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রথম ধাপেই বেইজিংয়ে হোটেল রেস্তোরাঁর তালা খুলে দিয়েছে চীনা সরকার। মাঝে ভয় দেখিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণও। কিন্তু মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় সর্বোচ্চ সতর্কতা রেখেই নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ। যদিও জুড়ে দেয়া হয়েছে শর্ত, কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
বেইজিং শিবেই রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক লি শিয়ালং বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় খাবার পরিবেশন করতে পারিনি। উপার্জন ছিল না কিছুই। যখন আমরা ব্যবসা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছিলাম তখন বেইজিংয়ে শুরু হওয়া দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব আমাদের সব প্রস্তুতি অনর্থক করে তুলেছিল। এখন আমরা প্রতিদিন পুরো রেস্তোরা জীবাণুমুক্ত করছি। গ্রাহকদের দেহের তাপমাত্রা এবং স্বাস্থ্য কোডটিও যাচাই করছি।
যেমন মিয়োশি হাজিম, ১০ বছর আগে জাপান থেকে এসে বেইজিংয়ে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন, ২০২০ সালকে যিনি জীবনের সবচেয়ে কঠিন বছর হিসেবেই দেখছেন। বেইজিং রেস্তোরাঁ মালিক মিয়োশি হাজিম বলেন, আমাদের পাব বহুদিন বন্ধ ছিল। আমাদের কেবলমাত্র অর্ধেক কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ব্যবসা আগের মতো ভালো না, তবুও ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসায় আমাদের গ্রাহকরা ফিরে এসেছেন। মানুষ এখন নতুন স্বাধীনতা উপভোগ করছে।
শুধু খাওয়ানো নয়, মানুষের যত্ন নেয়াটাও এখন রেস্তোরাঁগুলোর দায়বদ্ধতা। করোনা সংকট কাটিয়ে হোটেল রেস্তোরাঁর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়ার চিন্তা করছে চীন।
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস