

ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতা ফ্লাইওভারের ভাঙ্গা ডিভাইডারে মৃত্যুঝুঁকি আছে দেখিয়ে ফেসবুকে লাইভ করার দু সপ্তাহের মধ্যেই ফ্লাইওভারটি ঠিক করে নিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টরা।
ফেসবুকে পূনরায় লাইভে এসে ফ্লাইওভারের ভাঙ্গা অংশটি ঠিক হয়েছে দেখিয়ে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন আমরা তো এ ধরনের পরিবর্তনগুলি চাই। যদি এক এক দু সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এভাবে ব্যবস্থা নেন তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশে যে কোনো অনিয়ম এবং সমস্যার পরিবর্তন আসা সম্ভব।
তিনি উল্লেখ করে বলেন আমি শুনেছি ফেসবুকে আমার লাইভটি করার পরের দিন থেকেই এখানে কাজ ধরা হয়েছে এবং খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগছে এবং আমি ভাবছি যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ যদি অন্তত কথা শুনেন এবং এভাবেই যেকোন সমস্যার সমাধান করেন তাহলে বাংলাদেশ বদলে যেতে সময় লাগবে না।
তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার-এর মাননীয় এমপি এবং ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলেন আমার লাইভটি প্রায় ২৩ লাখ মানুষ দেখেছিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে একটি বড় প্রভাব রাখতে পারে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো ভুলতা ফ্লাইওভার ঠিক হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি।
তিনি বলেন বাংলাদেশে আমাদের উন্নয়ন হয় ঠিকই কিন্তু যত্ন এবং সঠিক পরিচর্যার অভাবে উন্নয়নগুলো টেকসই হয় না তাই উন্নয়নের সাথে টেকসই করার জন্য যত্ন ও পরিচর্চা করার আহবান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত : গত ১৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেনের ফ্লাইওভারের ডিভাইডারের অনেক অংশ ভেঙ্গে বিপদজনকভাবে রড বের হয়ে থাকার দৃশ্য লাইভে দেখিয়ে বিষয়টি যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ও সিলেটের সন্তান ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেনের ফ্লাইওভারটি গত বছরের ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে ফ্লাইওভারটির কাজ কিছুটা অসম্পন্ন থাকলেও ঈদে মানুষের চলাচলের জন্য ৯ আগস্ট একেবারেই কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া খুলে দেওয়া হয় এটি। এতে মহাসড়কে কমে যায় যানবাহনের চাপ ও যানজটও কমে আসে একেবারে।
ভুলতায় চার লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ টাকা। পরবর্তিতে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে এটি আরও ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬ টাকা বাড়িয়ে ২৯৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টাকা করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বরাবর ১২৩৯ মিটার দৈর্ঘের একটি ও ঢাকা বাইপাস মহাসড়ক বরাবর ৬১১ মিটার ৪ লেনের দুই ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বরাবর ২.১৩ কিলোমিটার এবং ঢাকা বাইপাস সড়ক বরাবর ১.০৮৪ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্থকরণ করা হয়।