

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে গোপনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষিতা গৃহবধূ কাপাসিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার চারদিনে একজন আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনাটি জানাজানি হলে কাপাসিয়া উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সাফাই শ্রী গ্রামের ওই ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তার এক বন্ধু দুই বছর ধরে শিক্ষানবিশ সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। সেই সুবাদে বাসায় আসা যাওয়া থাকায় গত বছর ৩ ডিসেম্বর রাতে সহকর্মীর স্ত্রীকে রাসেল মোল্লা ধর্ষণ করে এবং কৌশলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।
পরে ধারণকৃত ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে অপর দুই বন্ধুসহ তিনজনে গৃহবধূকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় যৌনমিলনে বাধ্য করেন। তাদের কথামতো না চললে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ও খুনের হুমকি দেয় বলে জানিয়েছেন ভিকটিম।
ধর্ষণ করে ভিডিও করার ফাঁদে ফেলে দিনের পর দিন যৌনমিলনে বাধ্য করা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি এলাকাবাসী ও ক্ষুব্ধ। তারা ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন।
এদিকে অভিযুক্ত ও তাদের স্বজনরা বলছেন, মামলার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। জমি বেচা-কেনার টাকা আত্মসাতের জন্য ওই নারীর স্বামীর এই ঘটনা সাজিয়েছে।
স্থানীয় থানার ওসি জানিয়েছেন, মামলা দেয়ার পর তারা তদন্ত করছেন এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করতে জোর তৎপরতা রয়েছে।
ওই গৃহবধূকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। আর টিভি।
এমএম/পাবলিকভয়েস