

ইকরামুল আলম, ভোলা॥ ভোলায় আমবস্যার প্রবল জোয়ার ও উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব।
বন্যার শুরু থেকেই দিন-রাত নিজের আরাম আয়েশ বিসর্জন দিয়ে বানবাসী মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে উপজেলার ইলিশা, রাজাপুর ও কাচিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে তাদের মাঝে চাল ও খাবার বিতরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহষ্পতিবার দুপুরে কাচিয়া ইউনিয়নের মূলভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মাঝের চরের পানিবন্দী পাঁচ শতাধিক পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় এক হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন নকিব।
দেশে চলমান করোনা মহামারি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন আওয়ামী লীগের এ ত্যাগী নেতা। তিনি সব সময় দেশের দুর্যোগময় মুহুর্তে মানুষের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি ভোলার মানুষের আপনজনজন নেতা তোফায়েল আহমেদ এর মাধ্যমে কাচিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় দুই কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধের ইমার্জেন্সি সংস্কারের ব্যবস্থা করেন। বৃহষ্পতিবার সে বাঁধ রক্ষায় বালুভর্তি জিওটেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে ডাম্পিং কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ তোফায়েল আহমেদ ও জহুরুল ইসলাম নকিবের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন।
কাচিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর মৃধা ও মাইনুদ্দিন তালুকদারসহ সেখানকার ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, অতি জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সে এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়ীবাঁধে ধ্বস দেখা দেয়। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সেখানকার বাসিন্দারা। জোয়ারের পানিতে অনেকের ঘর বাড়ি, পুকুরের মাছ ও ফসলী জমি তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় তারা কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিবকে বিষয়টি জানায়। সে তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জরুরী টেন্ডারের ব্যবস্থা করেন। সে অনুযায়ী আজ (বৃহষ্পতিবার) সকাল থেকে ওই এলাকার বেড়ী বাঁধ সংস্কারে কাজ শুরু হয়।
তারা আরো জানায়, আমরা যখনই কোনো সমস্যায় পড়ি তখনি জহুরুল ইসলাম নকিবের কাছে চলে যাই। তিনি তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করেন। এরকম একজন জনদরদী নেতা পেয়ে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
এছাড়াও করোনা মহামারিতে জহুরুল ইসলাম নকীব সরকারের সকল ত্রাণ নিজ হাতে তার ইউনিয়নের সকল গরীব, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে দলমত নির্বিশেষে বিতরণ করেছেন। দেশের সকল দুঃসময়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে প্রতিনিয়ত যখন যা পেরেছেন সাহায্য করেছেন।
জহুরুল ইসলাম নকিব বলেন, রাজনীতি হলো মানুষের জন্য। রাজনীতি করে যদি মানুষের দুঃসময়ে পাশে না থাকা যায় তাহলে রাজনীতি করে লাভ কি। আমি সব সময় আমাদের ভোলার কৃতি সন্তান, ভোলার মানুষের আশ্রয়স্থল জন নেতা তোফায়েল আহমেদ এর মাধ্যমে ভোলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকি। তাঁর স্বপ্ন হলো ভোলাকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক জেলা হিসেবে গড়ে তোলা। আর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও যাতে আসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যেতে পারি সেই দোয়া কামনা করছি। সেই সাথে আমাদের নেতা সাবেক সফল বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।