

ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে দূতাবাস ভবন বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের জেরে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ার নামে সাবেক ওই রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
অবাক করার মতো হলেও ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়। ২০ বছর আগের ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় অভিযুক্ত সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে আদালতে। মামলার তদন্তকাজে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এনএবির কর্মকর্তারা সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাদের সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালতে এনএবির দায়ের করা মামলায় জানানো হয়, ২০০০ সালের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ার। তিনি এরপর থেকেই সেখানকার দূতাবাস ভবনটি বিক্রির চেষ্টা চালান। ২০০১-২০০২ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যমে দূতাবাস ভবন বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন দেন। একেবারে পানির দামে নিজ দেশের দূতাবাস ভবন বিক্রি করে দেন ওই কূটনীতিক! এতে করে পাকিস্তানের ১৩২ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে এনএবি।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ বলেছেন, ‘অবৈধভাবে দূতাবাস বিক্রির ঘটনার তদন্তকাজ যথাযথ বা সঠিকভাবে হয়নি। তদন্ত যথাযথভাবে হলে এত দিন (প্রায় ২০ বছর) সময় লাগার কথা নয়।’
সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আরো সুচারুভাবে তদন্ত করা যেত বলে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা এনএবির কর্মকর্তাদের প্রতিও মন্তব্য করেন তিনি।
এমএম/পাবলিকভয়েস