

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়ার যদি ন্যায্যমূল্য না পাওয়া যায়, তাহলে কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ রোববার চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে যদি গত বছরের মতো সমস্যা হয় তাহলে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ করে দেয়া হবে। বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ট্যানারি মালিকদের নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিও গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, কোরবানির চামড়া পরিবহন নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় তদারকি বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া চামড়া সংরক্ষণে লবণ সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন জানায়, গত তিন দশক ধরে কাঁচা চামড়া রপ্তানির যে সুযোগ বন্ধ রয়েছে, সম্প্রতি তা খুলে দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি আসন্ন ঈদে পশুর কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে রপ্তানির সুযোগ দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীনসহ চামড়া খাত শিল্পের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা।
এর আগে গত বছর কোরবানির পশুর চামড়ার নজিরবিহীন দাম বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। এরপর কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই এবার কিছুটা দাম পাওয়ার আশায় আগেই রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এখনো রপ্তানির ঘোষণা দেয়া হয়নি।
এমএম/পাবলিকভয়েস