মাদরাসা খুলতে সরকারের সাথে যোগাযোগে হাইআর সাব-কমিটিতে আছেন যারা

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

কোরবানির আগে কওমী মাদ্রাসাগুলো খুলে দিতে সরকারের সাথে আলোচনা করার জন্য হাইয়াতুল উলইয়া এর পক্ষ থেকে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৮ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে কোরবানির আগে কওমী মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়াসহ আরো কিছু বিষয়ে খুব শীগ্রই সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে পাবলিক ভয়েসের পক্ষ থেকে হাইআতুল উলয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে হাইআর অফিস বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা অছিউর রহমান জানান – কুরবানীর আগে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য হাইয়াতুল উলিয়া পক্ষ থেকে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে বেফাক বোর্ডের পক্ষ থেকে রয়েছেন ৩ জন এবং বাকি পাঁচটি বোর্ড থেকে রয়েছেন ৫ জন।

কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহকারী মহাসচিব ও হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সদস্য মাওলানা মাহফুজুল হক। বেফাক থেকে আরও যে দুজন রয়েছেন তারা হলেন মাওলানা নুরুল আমীন, এবং মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।

এছাড়া বাকি পাঁচজন যারা রয়েছেন তারা হলেন –  চট্টগ্রামের ইত্তেহাদ বোর্ড থেকে মাওলানা আবদুল হালিম বোখারী, গহরডাঙ্গা মাদরাসার মাওলানা রুহুল আমীন, তানযিম বোর্ড থেকে আছেন মাওলানা মাহমুদু্ল আলম, জাতীয় দীনি বোর্ড থেকে আছেন মুফতী মোহাম্মদ আলী, সিলেট আজাদ দীনি এদারা থেকে আছেন মাওলানা আবদুল বসির।

৮ জনের এই বোর্ড সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কোরবানির আগে কওমি মাদ্রাসায় কিভাবে খোলা যায় বা এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবেন।

এ বিষয়ে মাওলানা অছিউর রহমান আরো জানান, মাদরাসা খুলে দেয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে হাইআতের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সাব-কমিটির আলোচনার পর মাদরাসা খোলার ঘোষণা এলে তাৎক্ষণিক বৈঠক করে স্থায়ী কমিটি পরীক্ষার তারিখ ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবং তেজগাঁওয়ের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস ড. মুশতাক আহমদ যিনিসহ অনেকেই এর আগে হেফজ বিভাগ খুলে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করেছিলেন এবং কওমী মাদরাসার কিতাব বিভাগ খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি এই সাব কমিটি বিষয়ে একটি ধন্যবাদ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন –  আলহামদুলিল্লাহ। আমরা মনের গভীর থেকে “আল হাইয়াতুল উলইয়া”-র বুযর্গানে দীনের খুব শোকর আদায় করছি। আসলে সকলের চেষ্টা মেহনতে শামিল রেখে কোন কাজ হলে তাতে আল্লাহ পাকের রহমত বেশী থাকে।

আমরা হেফজখানার পর কিতাবখানাও খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে হাটহাজারীসহ ঢাকা ও দেশের বড় বড় মাদ্রাসাগুলির সাথে কথা বলে সরকার পক্ষকে জানিয়েছি। সরকার পক্ষ গতদুইদিন আগেই আমাদেরকে মাদরাসা খুলে দেবার প্রজ্ঞাপন জারী করার মর্মে আশ্বাস দিয়েছেন। ইতপূর্বে হিফজখানা খোলার প্রজ্ঞাপন জারি সম্পন্ন হয়েছে।

এই মুহুর্তে একটি বিবৃতি দেখে খুব ভাল লাগল যে, হাইআ অফিসিয়ালভাবে একটি সাব কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির ৪ সদস্য শীঘ্রই সরকারের সাথে যোগাযোগ শুরু করছেন আলহাদুলিল্লাহ।

আমাদের মনের আকাঙ্খা হল, মহামারির কারনে বন্ধ হওয়া মাদ্রাসাসমুহকে বিভিন্ন উপায় দেখিয়ে চালু করার অনুমতি প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাওয়া। হিফজ খানার পর এবার কিতাব খানা খোলার একটা অনুমতি প্রজ্ঞাপন মাদরাসার অস্তিত্বের জন্য খুবই প্রয়োজন। তারপর বোর্ডগুলো পরীক্ষা নেওয়া বা না নেওয়া কিংবা মাদ্রাসাগুলো কুরবানীর কালেকশন করা বা না করা, কিংবা কালেকশন কিভাবে করা উচিৎ তা একান্ত যার যার বিষয় আমাদের বিষয় নয়। সেটা সম্পূর্ণভাবে বোর্ড ও প্রত্যেক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যাপার।

যাই হোক হাইয়া সহ উলামা হযরত যারা কওমী মাদ্রাসার কিতাবখানা খোলার জন্য মনের মধ্যে ব্যাথা বোধ করেন তাঁদেরকে এবং অদ্যকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে যাদের মেহনত আছে তাঁদের সকলকে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ। শুকরান। জাঝাকাল্লাহ।

আরআর/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন