সৌদি কিশোরী রাহাফ ‘কুনুন’ ও আমাদের মিডিয়ার বুনো আনন্দ!

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৯

সৌদি আরবের একটি মেয়ে মুরতাদ হয়েছে । সম্প্রতি মিডিয়া তাকে নিয়ে বেশ সরগরম। তার মদ খাওয়া, শুকর খাওয়া এবং সিগারেট খাওয়া নিয়ে একেরপর এক নিউজ হয়েই যাচ্ছে! অথচ এখানে মূল বিষয় হলো ধর্ম পরিবর্তন করার। এর বিপরিতে আমরা পৃথিবীর কত বড় বড় তারকাকে ইসলামগ্রহণ করতে দেখি। মাইকেল জ্যাকসনের কথাই ধরুন। তার ইসলামগ্রহণকে মিডিয়া এড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের জনপ্রিয় তারকা ক্রিকেটার মুহাম্মাদ ইউসুফ। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে তিনি ইসলামগ্রহণ করেছিলেন। কিছুদিন আগে একজন পায়লট ফ্লাইট পরিচালনা করার সময় আকাশে ইসলামগ্রহণ করেছিলেন। তার ইসলামগ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। কিন্তু সেটা নিয়ে মিডিয়ায় কোনো কথা হয়নি।

জনসংখ্যা জরিপ বলছে ফ্রান্সে যে হারে শনৈঃ শনৈঃ মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আরো এক শতাব্দি পর ফ্রাস মুসলিমপ্রদান দেশ হয়ে যাবে! ইউরোপ, আমেরিকায় মানুষ জীবন সম্পর্কে নিরাশ হয়ে দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়ার নিচে আশ্রয়গ্রহণ করছে!অষ্ট্রেলিয়ায়তো এ বছর রেকর্ড পরিমাণ মানুষ মুসলমান হয়েছে।

৩৩ কোটি দেবতার দেশ ভারতের দিকে একটু চোখ ফিরান। এক কালিম সিদ্দিকির হাতে অসংখ্য মানুষ ইসলামগ্রহণ করেছে। বাবরি মসজিদে প্রথম যে লোক শাবল দ্বারা আঘাত করেছিলো, সেও ইসলামের ছায়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছে। হেরা গুহা থেকে যে ইসলামের পথচলা শুরু হয়েছিলো, কিয়ামত পর্যন্ত সে ইসলামের আলো কেউ নিভিয়ে দিতে পারবে না। মুসলমানদের নিয়ে ইউরোপিয়ানরা একেরপর এক ঘণ্য ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে! একেরপর মুসলিম দেশ জ্বালিয়ে ছাই করে দিচ্ছে! কিন্তু তাদের খবর নেই যে, তাদের সমাজ আলোকিত কওে ইসলামের রবি উঠতে শুরু করেছে! ইউরোপে আজ দলে দলে মানুষ ইসলামগ্রহণ করছে! এতো হামলা, ষড়যন্ত্র পাকিয়েও কি ইসলামের অগ্রযাত্রাকে তারা ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে? প্রতিদিন দলে দলে মানুষ ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে!

মিডিয়া! কানা মিডিয়া! এতো এতো মানুষ ইসলামগহণ করে! সেগুলো তোমাদের চোখে পড়ে না! চাঁদে গিয়ে পবিত্র আজান শুনে ইসলামগ্রহণের কাহিনী তোমাদের কানে যায়নি! সেগুলো নিয়েতো কখনো লেখালেখি করোনি? এুখে টয়লেট পেপা সাঁটা ছিলো! সৌদি আরবের কোথাকার কোন নষ্ট, ভ্রষ্টকে নিয়ে মাতামাতি করে মানষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছো? কিন্তু মনে রাখবেন যারা এগুলো করছেন, খবর নিয়ে দেখেন আপনার স্ত্রী ইসলামে মুগ্ধ! আপনার মেয়ে মনে করে ইসলামই একমাত্র রক্ষাকবচ। যদিও সে সেটা প্রকাশ করছে না!

বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে আমরা বারবার পরাজিত হয়ে যাই। এক মালালাকে নিয়ে মিডিয়া তোলপাড় করেছিলো! কিন্তু মুসলিম বিশ্বের লাখ লাখ মালালাকে আমরা তুলে ধরতে পারিনি! সমকামীদের পাছায় তারা মানবাধিকার খুঁজে পায়, কিন্তু মিয়ানমারের লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তের মাঝে মানবতা খুঁজে পায় না। এভাবে আর কত? আসুন, মতপার্থক্য ছুড়ে ফেলে সবাই এক হয়ে যাই। ইসলামের সোনালী দিন আবারও ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করুন