বিপদসীমার উপরে দুই নদীর পানি; ঝুঁকিপূর্ণ ২০ পয়েন্ট

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

নওগাঁ সংবাদদাতা: নওগাঁর মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নদীর পানি বিপদ সীমায় অবস্থান করলেও গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। ইতোমধ্যে নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে আত্রাই ও ফকির্ণি নদীর অন্তত: ২০টি পয়েন্ট।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আত্রাই নদীর পানি হু-হু করে বাড়ছে। আগামি ২৪ ঘন্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া পরিস্কার হলে দু’একদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে। পানি বাড়তে থাকায় বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো তদারকি করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন। বাঁধ টিকিয়ে রাখতে সবধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহীম হোসেন জানান, ২০১৭ সালের বন্যায় চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি বেড়িবাঁধ ভাঙার পর আর মেরামত করা হয়নি। নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এসব ভাঙনস্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে দুই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানির চাপে আত্রাই ও ফকির্ণি নদীর উভয় তীরের পারনুরুল্লাবাদ বেড়িবাঁধ, বনকুড়া, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, শহরবাড়ি ভাঙ্গীপাড়া, নিখিরাপাড়া, শামুকখোল, লক্ষ্মীরামপুরসহ অন্তত: ২০টি পয়েন্ট চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে শামুকখোল নমঃশুদ্রপাড়া এলাকায় আত্রাই নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়ে পানি পার হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বাঁধটি টিকিয়ে রাখতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন