

গত ১৩ জুন পুরো পরিবারসহ প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।টানা ২০ দিন করোনার সাথে লড়াই করে করোনা জয় করলেন আফ্রিদি পরিবার। করোনাভাইরাস থেকে সপরিবারে মুক্তি পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজেই জানিয়েছেন আফ্রিদি।
Alhamdulillah, my wife & daughters, Aqsa & Ansha have re-tested after our previously positive results for #COVIDー19, & are now clear. Thanking u all for your continuous well wishes, & may the Almighty bless you and yours. Now back to family time; I’ve missed holding this one 😊 pic.twitter.com/J5mDv7DnBD
— Shahid Afridi (@SAfridiOfficial) July 2, 2020
আফ্রিদি জানান, স্ত্রী-দুই মেয়েসহ তিনি নিজে কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হলেও এখন তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। টুইটারে ছোট কন্যাকে উপরে তুলে চুমু দেয়ার ছবি পোস্ট করে আফ্রিদি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার স্ত্রী ও কন্যার- আকসা ও আনশা এবং আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর ফের পরীক্ষা করিয়েছি। আমরা সকলেই এখন করোনামুক্ত। আমাদের জন্য দোয়া করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাদের সবাইকে ভালো রাখে। এখন পরিবারকে সময় দেওয়ার পালা। আমি এখন এটাই সবচেয়ে বেশি মিস করছি।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই নিজ দেশের অসহায় ও কর্মহীন মানুষজনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আফ্রিদি। আফ্রিদি ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিদিনই দুস্থ-অসহায়দের আর্থিক ও খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়।করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নিজের প্রিয় ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রফিম। সেই ব্যাটটি নিলাম থেকে ২০ হাজার ডলারে কিনেছিলেন আফ্রিদি।
আফ্রিদির আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটার তৌফিক উমর ও জাফর সরফরাজ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। জাফর করোনায় মারা গেলেও তৌফিক সুস্থ হন। আর সম্প্রতি ইংল্যান্ড সফরের আগে পাকিস্তানের দশজন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হন। তৃতীয় দফার পরীক্ষায় ছয়জনের করোনা নেগেটিভ আসে। আর চারজনের পজিটিভ আসে। পজিটিভ আসা চারজন হলেন- ইমরান খান, কাশিফ ভাট্টি, হায়দার আলি ও হারিস রউফ।
এমএম/পাবলিকভয়েস