

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসেবামূলক কাজ করে আলোচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ হক সুমন সর্বপ্রথম আলোচনায় এসেছিলেন ধারাবাহিকভাবে তার নিজ এলাকায় কাঠের ব্রিজ করে দেওয়ার মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন
একে একে তিনি প্রায় ত্রিশটি ব্রিজের কাজ করেছেন নিজ এলাকায়। কিন্তু ব্রীজগুলো কাঠের হওয়ায় দুই বছর তিন বছর পর আবার সেগুলো ভেঙে যায়। এরইমধ্যে দ্বিতীয় দফা তিনি একটি ব্রিজের কাজ দুই বছর পর আবারো করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
মূলত চুনারুঘাটের চাকলাপুঞ্জী চা বাগান এলাকায় উদ্বোধনের আগে ভেঙে যাওয়া একটি সরকারি সেতুর। জায়গায় তিনি কাঠের ব্রিজ করে দিয়েছিলেন। যেটি প্রায় দুই বছর স্থায়ী ছিল। এবং দুই বছর পর পুনরায় ব্রিজটি ভেঙে যায় এবং এলাকার মানুষের চলাচলে সেই আগের মতই আবার কষ্ট সহ্য করতে হয়। তাই নতুন করে এই বৃষ্টি আবারও করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
আজকেই ফেসবুকের পেজে লাইভে এসে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করে তিনি সরকারি সেই ভাঙ্গা ব্রিজটিও দেখিয়েছেন।
চুনারুঘাটের চাকলাপুঞ্জী চা বাগান এলাকায় সরকারিভাবে করা সেই ব্রিজটি উদ্বোধনের আগেই ভেঙে যাওয়ার পর এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং কষ্ট দেখে গত দুই বছর আগে সেখানে একটি কাঠের ব্রিজ করে দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।
এই দুই বছর পার হলেও এলাকার গণ্যমান্য বা রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এই জায়গায় এখন পর্যন্ত নজর দেননি এবং সেই ভাঙা সরকারি ব্রিজটিও আগের মতই পড়ে আছে। একই সাথে ব্যারিস্টার সুমনের করে দেওয়া কাঠের ব্রিজটিও ভেঙে গেছে। সেখানেই তিনি দুই বছর পরে এসে আবারো ব্রিজ করে দিচ্ছেন।
আগামীকাল দ্বিতীয় দফা তিনি সেখানে কাঠের ব্রিজের কাজ উদ্বোধন করবেন এবং এক সপ্তাহ নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করার পর উদ্বোধন করে আবারও ফেসবুকে লাইভে আসবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লিটন চৌধুরী নামে একজনের সহযোগিতায় এই ব্রিজটি পুনরায় করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে দুঃখপ্রকাশ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আজকে বাংলাদেশের বাস্তবতায় একটা ব্রিজ এর কাহিনী জানাই আপনাদের। এরপর ব্রিজের সামনে দাড়িয়ে তিনি বলেন – এই বৃষ্টি এভাবেই ভেঙে পড়ে আছে। মাননীয় এমপি মহোদয়ের উদ্বোধনের আগেই ব্রিজটি ভেঙে গিয়েছে কিন্তু দীর্ঘ সময়ে কেহই এই ব্রিজটি ঠিক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি।
একই সাথে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন করোনাকালীন এই সময়ে অবৈধভাবে যারা টাকা উপার্জন করে ব্যাংক ব্যালেন্স করেছেন। তারা যেন তাদের টাকাগুলো অন্তত সৎপথে বিতরণ করেন। কারণ এই করোনা ঘুষ খায় না এবং করোনা যে কাকে ধরবে তাও বলা যায় না। তাই অন্তত যারা অন্যায় ভাবে টাকা উপার্জন করেছেন কিন্তু তাদের টাকাগুলো সৎপথে বিতরণ করে যাবেন। যাতে করে পরকালে অন্তত এটুকু বলতে পারেন যে- আমি আমার টাকা পয়সা সৎপথে বিতরণ করে এসেছি।
আমার জীবনে সর্বোচ্চ নৈতিকতা শিখেছি মসজিদ থেকে : ব্যারিস্টার সুমন
এছাড়াও তিনি নিজের ব্রিজের কাজ উদ্বোধন বিষয়ে বলেন, আমি আমার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি এবং এটুকু দেখিয়ে দিচ্ছি নিজের মনোবল শক্ত থাকলে অবশ্যই যেকোনো কাজ করা যায়। নয়তো দু’বছর পরে এসে আবার সেই একই ব্রিজ আমি যে করে দিতে পারছি এটা আমার মনের শক্তি না থাকলে আমি অবশ্যই পারতাম না। তিনি তার এই কাজের ব্যাপারে সবার কাছে দোয়া চান এবং সবাইকে সমাজসেবামূলক কাজে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঃ
নিজের ঈদ খরচ দিয়ে ২৯ তম ব্রিজ বানিয়ে দিচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন
খোয়াই নদীতে বাঁশের ব্রিজ : ২৭ তম ব্রিজের উদ্বোধন করলেন ব্যারিস্টার সুমন
১২ বছর ধরে দাড়ানো পিলার, সম্পন্ন হয়নি ব্রিজের কাজ
নিজের করা ২৫তম ব্রিজ উদ্বোধন করলেন ব্যারিস্টার সুমন
১৯ বছরেও উদ্বোধন হয়নি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ
ছুটিতে গ্রামে গিয়েও বসে নেই ব্যারিষ্টার সুমন : সম্পন্ন করলেন ২৪ তম ব্রিজের কাজ
ব্যারিষ্টার সুমনের লাইভের দুইঘন্টার মাথায় সরে গেলো রামপুরা ব্রিজের নিচে
করোনায় চিকিৎসকদের জন্য নিজের বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন
আরআর/পাবলিক ভয়েস