

‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট।
বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এ বাজেটে যে সব পন্যের দাম বাড়তে কমতে পারে তাঁর তালিকা দেওয়া হলো –
দাম বাড়তে পারে যেসব পন্যের:
- অনলাইন কেনাকাটা।
- ইন্টারনেটের খরচ।
- মোবাইল ফোনের খরচ ও মোবাইল ফোনের সিম কার্ড।
- আসবাবপত্র।
- বিড়ি, সিগারেট, জর্দা বা তামাকজাতীয় পণ্য।
- আমদানি করা পেঁয়াজ, লবন, মধু, দুধ, দুগ্ধজাতীয় পণ্য, চকলেট।
- আমদানি করা অ্যালকোহল।
- চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়া।
- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ সার্ভিস।
- আলোকসজ্জা।
- ড্রেজার।
- লোহা, বাণিজ্যিক যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ।
- ফার্নেস তেল।
- বিদেশি টেলিভিশন।
- প্রসাধন সামগ্রী।
- সিরামিকের সিঙ্ক, বেসিন।
- কার ও জিপের নিবন্ধন ব্যয়।
- সাইকেল ও বিদেশি মোটর সাইকেল।
দাম কমতে পারে যেসব পন্যের :
- মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের কাঁচামাল।
- রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনারের কম্প্রেসার।
- আমদানি করা কৃষিযন্ত্র ও যন্ত্রাংশ।
- কাগজ।
- এলপিজি সিলিন্ডার।
- স্বর্ণ।
- স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়পার।
- জুতা তৈরির কাঁচামাল।
- সরিষার তেল।
- চিনি।
- আলু ও ভুট্টা থেকে স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাত খাবার।
- করোনাভাইরাস টেস্ট কিট, মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই এবং
- আইসিইউ যন্ত্রপাতি।
- ডিটারজেন্ট।
- প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং।
- সৌর ব্যাটারি।
- পলিস্টার, রেয়ন, কটন ও অন্যান্য সিনথেটিক সুতা এবং টেক্সটাইলের কাঁচামাল ।
- বেইজ অয়েল, লুব্রিকেটিং অয়েল ও লিক্যুইড প্যারাফিন।
- নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী, সার, বীজ, কীটনাশক
- জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, কাঁচা তুলোসহ আরও
- কয়েকটি শিল্পের কাঁচামালের দাম অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এবারের বাজেটে ব্যক্তিগত করের হার কমানো হলেও ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ওপর আবগারি শুল্কের হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে ১৩.২% বেশি। টাকার অংকে এই পার্থক্য ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। সূত্র : বিবিসি