

কুমিল্লা থেকে সাজ্জাদ হুসাইন রাহাত : কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার জনবহুল রেলওয়ে স্টেশন “হাসানপুর রেলস্টেশন”। লাকসাম জংশনের পর জনবহুল রেলস্টেশন হিসেবেও গন্য করা হয় এই স্টেশনটিকে।
কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশনে ঢুকার মূল রাস্তার বেহাল দশা হয়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে। অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে জুবুথুবু অবস্থা হয়ে থাকে সড়কের।
২০১৩/১৪ তে যখন এই রেললাইনের দ্বিতীয় লাইনের কাজ চলছিল, তখন ‘ম্যাক্স” এর বড় বড় গাড়ি চললে এ রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি রাস্তার। যাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি হলেও বিগত ৬/৭ বছর ধরে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে আছে সড়কটি। এছাড়াও হাসানপুর- ভাসরলংকা-মোড্ডা-সুরপুর গ্রামবাসীর যাতায়াতের পথও এটি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে – রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্ত হয়ে আছে, হাল্কা বৃষ্টি হলেই হাটু সমান পানি জমে যায়। যাত্রীদের পাশাপাশি গ্রামবাসীর ভোগান্তিও চরমে। এ রাস্তার কাজের জন্য মেম্বার চেয়ারম্যানের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এতবছর কোন কাজ হয়নি।
হাসানপুর গ্রামের প্রবাসী সংগঠন “মাটির মানুষ কুঁড়ে ঘর” এর সভাপতি মনসুর আলম সিপন ও উপদেষ্টা, আলহাজ্ব জনাব নূরুল ইসলাম সাহেব ও কুয়েত প্রবাসী জনাব মুলকুতুর রহমান সাহেবের সাথে কথা বলে জানা যায় ; এ রাস্তার কাজের জন্য তারা অনেক জনপ্রতিনিধির কাছে গিয়েছেন। তারা বারবার আস্বস্ত করলেও কাজের কোনো সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর উদ্যোগে কিছু পাইপ বসানো হয়। কিন্তু পানি যাওয়ার জন্য সে পাইপই যথেষ্ট হচ্ছে না।
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু সমান পানি জমে যায়।বর্ষাকালে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ থাকে। মানুষের মসজিদে ও বাজারে যাওয়ার পথও এটা। মসজিদে যেতে ও বাজার করতে তাদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।
তাই সকল গ্রামবাসী ও যাত্রী সাধারণ জনপ্রতিনিধিরের কাছে আবেদন করেছে যে, দ্রুত এ রাস্তার সংস্কার কাজ করতে এবং ড্রেন বা পাইপের মাধ্যমে বৃষ্টি পর যেন তৎক্ষনাৎ পানি সরে যায় সে ব্যবস্থা করতে।
#এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস