

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পান। আম্পানের আঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা খুলনা, সাতক্ষিরাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আম্পান দুর্গত এসব অঞ্চলে পরিদর্শন করতে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়াতে সাতক্ষিরাসহ দুর্গত অঞ্চলে গিয়েছেন আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত সমাজসেবামূলক সংগঠন ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
দুর্গত অঞ্চলে দু একদিনের মধ্যে ইকরামুল মুসলিমীনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হবে বলেও জানানো হয়।
ঢাকা থেকে ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহর নেতৃত্বে ঈদের রাতেই ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সদস্যরা প্রথমে পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে গিয়ে নৌকাডুবিতে নিহত হওয়া সৈয়দ শাহ আলমের বাড়িতে যান। এছাড়াও ঘুরে দেখেন উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাও। সেখানে কিছু সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা।
সেখান থেকে পরবর্তিতে (২৮ মে) প্রথমে তারা সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের প্রায় ৯ টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। এরপর তারা শ্যামনগর থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন – আমরা এখানে এসেছিলাম একদিনের জন্য, এখন কতদিন থাকতে হবে জানি না। মানুষের থাকার জায়গা নাই। ঘরবাড়ি ডুবন্ত অবস্থায় আছে। রান্নার জায়গা নাই। তেমন কোনো অনুদানও নাকি আসেনি।
আশাশুনির প্রতাপনগরের ৯টি ওয়ার্ড তছনছ হয়ে গেছে। মানুষের কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। আজ (৩০ মে) সকাল থেকে কাদা, পানি, মাটি আর নদীপথে ঘুরেছি প্রতাপনগরের পথেপ্রান্তরে।

সবকিছু নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখাচ্ছেন একজন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি। ছবি : ইকরামুল মুসলিমীন টিম।
স্থানীয় অঞ্চল ঘুরে তিনি বলেন – ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হচ্ছে বেরীবাঁধ। তাদের দাবিই এইটা। বেরীবাঁধ ভেঙ্গে ফসল মাছ সব শেষ। পথে বসার অবস্থা স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীদের।
এ অবস্থায় আগামীকাল থেকে শ্যামনগর ও প্রতাপনগর এলাকায় ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ।
বর্তমানে ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দুর্গত অঞ্চলে যারা অবস্থান করছেন তারা হলেন – ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ, ফাউন্ডেশনের প্রচার সচিব এহসান সিরাজ, ইকরামুল মুসলিমীনের যুগ্ম মহাসচিব ও আল মাদানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন সাব্বির। ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সচিব আবদুর রহমান কোব্বাদী, ফাউন্ডেশনের সদস্য আকন সিরাজুল ইসলাম এবং অতিথি হিসেবে আরও আছে মো. মনযূরুল হক।
এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস