

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে প্লাজমা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার শরীরে ও পজিটিভ রক্তের ২০০ মিলি প্লাজমা দেয়া হয়। একই সাথে ডা. জাফরুল্লাহ জানান তিনি সুস্থ আছেন।
অপরদিকে করোনা আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহর খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা।
উভয়ের খোঁজ নেওয়ার বিষয়টিই নিশ্চিত করেছেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন – ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও খোঁজ-খবর নিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার জন্য ব্যবস্থা করতে বলেছে। সবাই আমার খোঁজ-খবর নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও নিয়েছেন, সকল রাজনৈতিক দলই খোঁজ-খবর নিয়েছেন’।
একই সাথে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খোঁজ নিতে প্রথমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফোন করেন তিনি, কিন্তু ঘুমিয়ে থাকায় ফোন ধরতে পারেননি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে সন্ধ্যার দিকে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য কিছু ফল ও একগুচ্ছ ফুল পাঠানো হয় ঈদের শুভেচ্ছা এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া ঈদের শুভেচ্ছা ও ফল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, আমরা বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য ফুল ও ফল নিয়ে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাই। পরে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়ে কুশল বিনিময় করেছি। বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি। প্রত্যুত্তরে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ম্যাডামের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমার হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নাই। তাই যাব না। আসলে আমার চিকিৎসা হলো আমাকে বাসায় থাকতে হবে। আমাকে হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে হবে, আর এটা (বাসায় থেকে করোনার চিকিৎসা গ্রহণ) করতে হবে’।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্র জানায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। আজ তিনি তার নিয়মিত চিকিৎসার ধারাবাহিকতায় ডায়ালাইসিস নিয়েছেন এবং ডায়ালাইসিসের পর করোনা চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন। তিনি গত ছয় বছর যাবত প্রতি সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন।
উনার করোনা চিকিৎসার অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় প্লাজমা দাতা সংগ্রহ করে দেয় সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ, সন্ধানী গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ইউনিট এবং ট্রান্সফিউসন মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
কোভিড-১৯ (করোনা) রোগে সুস্থ হয়ে যাওয়ার ১৪ দিন পর এক ব্যাগ প্লাজমা ডোনেশনের পর ৩ জন রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা যায়। ডা. জাফরুল্লাহর জন্য প্লাজমা দানে আগ্রহী ব্যক্তিদের 01791952353 ও 01785648622 নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
#আরআর/পাবলিক ভয়েস