

তিনি বলেন ‘দেশে কেউই দরিদ্র থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিক দুই মেয়াদে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দারিদ্র কমিয়ে আনতে কাজ করলে দরিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ ত্বরান্বিত হবে।’
স্পিকার বলেন, ‘সরকার গ্রামীণ দারিদ্র কমিয়ে আনতে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করছে। ভবিষ্যতে এর আওতা আরো বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও গ্রামীণ জনপদের নারীদের জন্য আয়বর্ধক সেলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং ভিক্ষুকদের পূণর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
কৃষি অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব দাবি করে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদ্বীপ পরিকল্পনা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকার নিজস্ব জলবায়ু তহবিল গঠন করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করেছে। লবনাক্ততা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এদেশের কৃষি ও কৃষকের অভিযোজনে ও টেকসই লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মাত্র ১০ টাকায় কৃষকের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। এখন সার, বীজ ও কীটনাশকের সহজলভ্যতা অনুভব করছে কৃষক। সঠিক কৃষিনীতি গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসময় তিনি খাদ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনা প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম এ মমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম সরকার মানু, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম পিন্টু, সমকাল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলার আয়োজক সমকাল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হামিদ রাজা।