খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর ব্যবসায়ীদের হামলা

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময়ে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের তিনি রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে চেয়ারম্যান মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। গত শুক্রবার দোকান খোলা রাখায় বাজারে হামলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন বলেন, ‘আজ উপজেলা পরিষদে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ছিল। সেখানে ইউএনও আমাকে ডেকেছিলেন। আমি যেতে রাজি হয়নি। তবে পুলিশ প্রোটেকশন দেওয়ার শর্তে বের হই। ১০ টার দিকে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আমাকে প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। বাজারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পূর্বেই ব্যবসায়ীরা আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমার সমর্থকরা বেশ কয়েকজন আহত হন।

পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছূুড়েছে। পরে পুলিশ এসে আমাকে বাড়ীতে পৌঁছে দিয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে আমাকে চিকিৎসা দিয়েছে। আমার সাথে ইউএনও, ওসি, এসিল্যাড এসে দেখা করেছেন। এমপি সাহেব কিছুক্ষণের মধ্যে আসছেন বলে জানিয়েছেন।’

বারাকপুর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনছার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের উপর বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়েছে। আমার কিছু করার ছিল না। আমি সকলকে সামলাতে পারিনি। গত শুক্রবারে চেয়ারম্যানসহ তার সমর্থকরা ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছিলো। তারা আজ চেয়ারম্যানের সর্মথকদের একত্রে দেখে ভেবেছে আবার হামলা চালাতে পারে। এই ভেবে তারা হামলা চালিয়েছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জি. এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষ থানায় মামলা করেনি। আজ চেয়ারম্যান বের হলে ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছে। এসময়ে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। বর্তমানে এলাকায় বিপুল পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় বারাকপুর বাজারে দোকান খোলা রাখায় ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন ও তার সমর্থকরা। এসময়ে ৯ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুইজনের মাথা ফেটে গিয়েছিল।

ওই দিন আহতরা হলেন, ফল ব্যবসায়ী ইসরাইল (৪২), ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল (৪৭), কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাচ্ছু (৩৫), খোল ভুষি ব্যবসায়ী মোজাফ্ফার (৪১), ওষুধ ব্যবসায়ী ডা. আবু জার (৫৫), মুদি ব্যবসায়ী অশোক কুন্ডু (৬৮) ও ছমির (৫৫)। মাথা ফেটে রক্তাক্তরা হলেন, মডার্ণ মেডিসিন সেন্টারের মালিক ডা. আফিউর (৫২) ও হাফিজ টেইলার্সের মালিক হাফিজুর (৩৮)।

/এসএস

মন্তব্য করুন