
করোনা কত মোলায়েম একটা শব্দ! শাব্দিক অর্থটাও চমৎকার, জমিদারি ভাব আছে। বাংলা অর্থ-রাজমুকুট। হ্যাঁ ঠিক বলছি, ভাইরাসটি দেখতে মুকুটের ন্যায়। তাই এর নামকরণটা এমন।
ভাইরাসের বাংলা শব্দ সংক্রমণ। করোনাভাইরাস মানবদেহে খুব সহজেই ঢুকে পড়ে। একজনের থেকে আরেকজনে। ফুসফুসে ঢুকে এক পর্যায়ে জানটা বের করে ফেলে। এটা চোরের মত ঢুকে ডাকাতের ন্যায় আচরণ করে।একেবারে রক্তারক্তি করে ছাড়ে। একটি অণু ঢূকে ফুসফুসের কোষের সাথে মিশে লাখো অণু কপি করে। এটি ফুসফুসে গিয়ে আবরণ তৈরী করে। ফলে রক্ত চলাচল ও শ্বাসপ্রশ্বাস আটকে দেয়। অতঃপর রক্তের সাথে মিশে অনুরূপ লাখো কণিকা তৈরী করে। এসব তথ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের।
বিশ্বে করোনা ছাড়া অন্য সকল ভাইরাসের মোটামুটি চিকিৎসা আছে। ঔষধ ও টীকা আবিস্কার হয়েছে। করোনার কোন ঔষধ নাই। ক্যান্সারেরও কোন ঔষধ নাই। যা আছে বাণিজ্য ছাড়া আর কিছু না। করোনাভাইরাস সৃষ্ট কভিড-১৯ নতুন একটা ব্যাধি।
মূলতঃ কভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত আল্লাহ প্রদত্ত একটা গজবের নাম। নামটা মানুষের দেয়া। আধ্ম্যাতিক নাম আরবীতে- বাংলা বা মুছীবত। বাংলায় গজব।
যদিও তথাকথিত আধুনিক মুসলিম ও বিধর্মীরা এসব মানতে চান না। তারা মনে মনে ভাবলেও তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন না।
পাশ্চত্যের একদল গবেষক স্বীকার করেছেন করোনা মনুষ্যসৃষ্ট নয়। প্রকৃতি সৃষ্ট। এ তত্ত্ব ব্যাপকভাবে প্রকাশ ও প্রচার ৎকরা হয় না।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর অবাধ্য বান্দাদের উপর শুধু গোসসাই করেন নাই, বরং তিনি গরম হয়ে আছেন। কথায় আছে না? মেজাজ তিরিক্ষ! হ্যাঁ এখন তাঁর মেজাজ তিরিক্ষে অবস্থান করছে। দুনিয়াব্যাপী এত তেলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার ও দোয়া চলছে, অথচ তাঁর সিংহাসন পর্যন্ত পৌঁছতেছে না?
করোনার চিকিৎসা নাই তবে প্রচেষ্টা তো থাকবে। প্রচেষ্টা হলো- সবাই সবার থেকে দূরে থাকেন। অর্থাৎ শরীর থেকে দূরে থাকলে সংক্রমণ ঘটবে না।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যারা প্রথম থেকে সোশাল ডিসট্যান্ট বা ঘরে থাকার নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে, তাদের করোনায় আক্রান্তের হার খুব কম। বাংলাদেশ এ নীতিটা বাস্তবায়ন করতে পারছেনা জনগনের উদাসীনতার কারণে।
সোশাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক দূরত্ব আসলে কি? আসলে শব্দটা হওয়া উচিত ছিলো শারীরিক দূরত্ব। কারণ, প্রত্যেকে প্রত্যেকের শরীর থেকে কমপক্ষে তিন মিটার বা তিন ফিট দূরত্বে থাকার নিয়ম। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস তিন ফিটের বেশী লাফাতে পারে না। অর্থাৎ পাশাপাশি থাকলে একজন থেকে আরেকজনের দেহে অনুপ্রবেশ করা সহজেই সম্ভব। এভাবেই সবাই আক্রান্ত হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে সামাজিক ডিসট্যান্সের থিওরিটা মানতে হবে আমাদের।
আমাদের আর কি করণীয় আছে? আছে। আর সেটিই বাঁচার ক্ষেত্রে আসল ও অব্যর্থ পন্থা। মহান শক্তিধর আল্লাহর কাছে সারেন্ডার করা। আল্লাহ মাফ চাই তোমার কাছে। তওবা করতেছি আর নাফরমানি করবো না। সোজা কথা।
আসুন আমরা কায়মনোবাক্যে দোয়া ইসতিগফারে মশগুল থাকি। আর বিস্তর এ সময়টাতে জায়নামাজে পরে থাকি, মহিয়ানের কুদরতি পদতলে।
লেখক ও গবেষক। সচিব, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড।