পটুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যপারে চাল চুরির অভিযোগ মিথ্যে

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২০

কাওছার আহমেদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫নং কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনির রহমান মৃধা এর বিরুদ্ধে চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ মিথ্য প্রমানিত হয়েছে। কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী বাজারে সোহাগের দোকানের সামনে টমটমে গাড়ি থেকে ১০ বস্তা চাল উঠানোর সময় স্থানীয় খবরে পুলিশ উক্ত চালসহ দোকানদার সোহাগ ও টমটম চালক জাকিরকে অাটক করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় মনির চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এ মামলা মনির চেয়ারম্যানকে অাটক করে পুলিশ।

উক্ত ঘটনায় পটুয়াখালী সদর উজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরজমিনে স্থানীয় জনগন, চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ট্যাগ অফিসারদের লিখিত বক্তব্য ও দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে, , উক্ত জব্ধকৃত চালের ঘটনার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান মনির রহমান মৃধার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

নির্বাহী অফিসার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, স্থানীয় জনগন, চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যকে ট্যাগ অফিসারের লিখিত বক্তব্য ও দাখিলকৃত কাগজপত্র অনুসারে পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন কমলাপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসূচীর অাওতায় ১৯০ জন জেলেদের মাঝে ২৯ ও ৩০ মার্চ দুইদিনে ১২৬ জন জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি হারে ১০০৮০ কেজি (১৯৭ বস্তা ৩২কেজি) চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরন করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অবিতরনকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে সংরক্ষিত আছে।

যার সাথে কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী বাজারে জনৈক দোকানদার সোহাগের দোকানে টমটম চালক জাকিরের গাড়ি থেকে যে ১০ বস্তা চাল উঠানোর সময় পুলিশ অাটক করেছে তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। উক্ত চাল সরকারী বস্তার প্রমান পাওয়া যায়নি এবং চাল সরকারী মর্মে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। সদর উপেজলা নির্বাহী অফিসার প্রতিবেদনে তার মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান মনির রহমান মৃধা এর বিরুদ্ধে চাল বিতরনে অনিয়ম বিষয়ক অভিযোগটি সত্য নয়।

বিষয়টি অবগতি ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রেরন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতী। স্থানীয় একাধিকজন জানান, কমলাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের জের ধরে একদল স্বার্থান্বেষী মহল মনির চেয়ারম্যানকে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে এ চাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। এ ঘটনার সাথে মনির চেয়ারম্যানের কোন সংশ্লিস্টতা নেই। দুইজনকে আটক করা হলে বাদীকে দিয়ে চেয়ারম্যানকেসহ ১০ জনকে মিথ্যাভাবে অাসামী করা হয়েছে যা সম্পুর্ন নির্বাচনী পলিটিক্স।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন