

আসছে ১৭-ই মার্চ বাংলাদেশ সাক্ষি হতে যাচ্ছে এক মাহেন্দ্রক্ষণের। স্বাধীনতার স্থপতি ও বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী হতে যাচ্ছে এদিন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ সাজবে উৎসবের সাজে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাকেন্দ্রে থাকবে বিভিন্ন আয়োজন। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই বার্ষিকীতে দেশের ধর্মীয় শিক্ষাধারা ‘কওমী মাদরাসায় কোন আয়োজন নেই’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন।
সেই প্রতিবেদনে আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়্যাহ’র সদস্য ও শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আয়োজন থাকা জরুরি বলে মনে করি। যারা বাংলাদেশ স্বীকার করেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করবেন কীভাবে। ব্যক্তি হিসেবে নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে তার জন্য দোয়া ও আলোচনা সভা করা যেতেই পারে। তিনি জানান, আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়্যাহ এখন পর্যন্ত মুজিববর্ষ নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি।
শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাজ্ঞ আলেমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত মুফতি নূরুল্লাহ, মালিবাগ মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা কাজী মু’তাসিম বিল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীসহ অনেকে। এছাড়া মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দেওবন্দে শিক্ষিত আলেম এবং ‘৫৬ সাল থেকে ’৬৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ আরও বলেন, আলেমদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের বিষয়ে কিছু বিষয় তো প্রকাশ্যেই আছে। বিশেষ করে জাতির জনককে হত্যার পর জোরেশোরেই প্রতিবাদ করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত মুফতি নূরুল্লাহ। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরদিন জুমার নামাজের খুতবায় এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন মুফতি নূরুল্লাহ। ওই জুমায় তার ছেলে মুফতি কেফায়েত উল্লাহও ছিলেন।
আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়্যাহ’র আরেক সদস্য মাওলানা রুহুল আমীন বলেন, ‘উলয়ায় এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মুজিববর্ষে কোনও আয়োজন রাখা দরকার।’