

নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে চামড়া শিল্পে। দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ৭০ শতাংশের ক্রেতা চীন। কিন্তু দেশটি এখন আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় ট্যানারিগুলোতে চামড়ার স্তূপ জমে গেছে। এখন এই চামড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। এ সংকট মোকাবেলায় দ্রুত বিকল্প বাজার খোঁজার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
সাভার চামড়াশিল্প নগরে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার চালু না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে চামড়া কিনছে না ইউরোপের ক্রেতারা। ফলে চীনে রপ্তানির উপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশের চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের।
একক দেশ হিসেবে চীনে রপ্তানি হয় ৬৫ শতাংশ চামড়া ও চামড়াপণ্য। এখন করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেশের দ্বিতীয় এ রপ্তানি খাতের সামনে এখন সংকট তৈরি করছে। চীন থেকে যেসব ঋণপত্র, রপ্তানি আদেশ ও পণ্য সরবরাহ আদেশ পাওয়ার কথা তা আসেনি।ফলে ১০০ কনটেইনার চামড়াজাত পণ্য এখন চীনে রপ্তানির অপেক্ষায় আছে। পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর থেকেই টানা কমছে রপ্তানি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াপণ্য রপ্তানি হয়। গত অর্থবছরে তা আরও কমে প্রায় ১০২ কোটি ডলারে নেমেছে। তাই এ ক্ষেত্রে টিকে থাকতে নীতিনির্ধারকদের সহায়তার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, রপ্তানির লক্ষ্য অর্জন দূরের কথা, রপ্তানি অর্ধেকের বেশি কমে যাওয়ার আশংকা ট্যানারি মালিকদের।
এমএম/পাবলিকভয়েস