ছাড়া পেয়েছেন শায়খ যাকারিয়া রিসার্চ সেন্টারের দুই শিক্ষক

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

কিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর র‍্যাবের হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়েছেন রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডস্থ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার এর দুই শিক্ষক মুফতী রিজওয়ানুল কবীর ও মুফতী শরিফ মালিক। আজ রোববার রাতে তারা ছাড়া পেয়েছেন।

পাবলিক ভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষা সচিব মুফতী তৈয়ব। তিনি জানান, রোববার রাত ১১ টার দিকে তারা র‌্যাব-১১ এর কার্যালয় (সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ) থেকে বেরিয়ে আসেন। গতকাল বিকেল থেকে তারা র‌্যাব-১১ এর হেফাজতে ছিলো উল্লেখ্য করে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে ঠিক কী কারণে বা কী অভিযোগে তাদেরকে র‍্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিলো তা জানাননি তিনি।

এ বিষয়র ফোন কলে শায়খ যাকারিয়া রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ জানান, কিছু ফরম্যাল জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে র‍্যাব-১১ অফিস থেকে ফোন করে বলা হয়েছিলো লোক পাঠানোর জন্য বা আমাকে যাওয়ার জন্য কিন্তু আমি প্রোগ্রামের ব্যাস্ততায় থাকায় যেতে পারিনি বলে কয়েকজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছি যারা আটক ওই দুজন শিক্ষককে নিয়ে এসেছেন।

বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানা যায় গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে তারা দুজন মাদরাসা থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। এদিন আসরের নামাজের পর দুই শিক্ষক রিকশায় করে যমুনা ফিউচার পার্কে যান। এরপর সন্ধা গড়িয়ে রাত ১০টা বেজে গেলেও তারা ফিরে না আসায় শঙ্কা তৈরি হয়। প্রথমে  মুফতী রিজওয়ানুল কবীর এর বাসা থেকে স্বজনরা মাদরাসায় খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান না পেলে দুই শিক্ষকের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্ক তৈরি হয়। এরপর থেকে তারা দুজনেই নিখোঁজ ছিলেন।

তাদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলেছে তীব্র আলোচনা। অনেকেই এ ধরণের আটকের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কারণ এর আগেও অনেক আলেমকে এভাবে আটক করা হয়েছে যারা পরবর্তিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক অবস্থায় পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, মাওলানা মুশতাকুন নবী, মাওলানা আতিকুল ইসলাম, মাওলানা আ. সবুর সুমনসহ অরও অনেকে। তবে তাদের মধ্যে আ. সবুর সুমনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ এর জামাতা মুফতী আমীর হামজা জানান, ‘মুফতী রিজওয়ানুল কবীর মাদরাসার সিনিয়র মুফতি ছিলেন, আর মুফতী শরিফ মালিক মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিলেন। তারা দুজনেই প্রায়ই একসাথে যমুনা ফিউচার পার্কে যান। সেখানে নাস্তা করেন, গল্প করেন। আবার সময় মতো চলে আসেন।

প্রসঙ্গত : মুফতী রিজওয়ানুল কারীম মাদরাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছেন। নিজ উদ্যোগে অভাবী ও অসহায় মানুষের সেবা প্রদানের কাজে “হাসানাহ” নামক একটি সেবা সংস্থা পরিচালনা করেন তিনি। মুফতী শরীফ মালিক তাঁর সহযোগী।

মন্তব্য করুন