পটুয়াখালীতে হু-হু করে বাড়ছে পানের দাম

প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

কাওছার আহমেদ, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দশমিনা বাজারে হু-হু করে বাড়ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান পানের দাম। ফলে উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী ক্রেতা বিক্রেতাসহ নাভীশ্বাস উঠেছে পান পিয়াসীদের।

বর্তমানে বাজারে উর্দ্ধম‚খী দাম, সেই সাথে এখন পানের দামও উর্দ্ধম‚খী হয়ে বাজার কাপাচ্ছে। একটু হিসাব করলেই দেখা যাবে দেশের এক তৃতীয়াংশ লোকই পান খেয়ে থাকে বিশেষ করে পরিবারের বাবা মা ও বয়স্ক দাদা দাদি, নানা-নানি মুরোব্বিরা।

নিম্ন আয়ের মানুষসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষই পান খেয়ে শরীর মনের খুধা মেটাই। কিন্তু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পানের বাজারে দামের এই অস্থিতিশীলতার কারণে একরম চাপা কষ্টের মধ্যেই আছে পানের সাথে জড়িত মানুষেরা।

বিভিন্ন ছোট বড় হাট-বাজার ঘুরে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পানের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে যে পানের চলি প্রতি ৬০-৭৫ টাকা ছিল তা বর্তমানে প্রায় দেড়’শ টাকা এবং খিলি পান যা গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকা ছিল তা বর্তমানে তিন’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি বছর প্রচন্ড শীতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পান চাষীদের পানের বরজগুলোর পান অকালে ঝড়ে পড়ায় স্থানীয় বাজারে পানের সরবরাহ কমে গেছে। দীর্ঘদিন যাবত পান ব্যবসায়ের সাথে জড়িতরা এবছর ব্যাপক লোকশানের সম্মুক্ষীণ হচ্ছেন।

গছানী বাজারের পান ব্যবসাই রিপন চন্দ্র ও হোসেন জনান, গত সপ্তাহে মোকাম থেকে পান কিনে এনে তাদের আট-নয় জন ব্যবসায়ী প্রত্যেকে অনেক টাকা করে লোকশান দিয়েছেন। পানগুলো ঝরে পড়া ছিল তারা আগে বুঝতে পারেনি। বর্তমানে মোকামেই পানের আকাল চলছে।

মোকাম থেকে বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। মোকামে দাম বাড়তি হওয়ায় তার সাথে পরিবহন ও অন্যান্যা খরচ যোগ করলে দেখা যাচ্ছে যেন পান নয় শোনা কিনছি। পান কিনতে আসা বয়স্ক মুরোব্বি আব্দুল লতিফ বলেন, চল্লিশ বছর ধরে পান খাই এখন প্রতিদিন বিশ খিলি করে পান খায় কিন্তু বর্তমানে পানের যে দাম বাড়ছে তাতে করে তিন থেকে চারটা পানও খাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন