সংজ্ঞাহীন ভিপি নুরসহ আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ভিডিও)

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও অন্যান্যদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ভিপি নুর এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মশিউরসহ অনেকেই সংজ্ঞাহীন রয়েছেন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের গেট বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মী রক্তাক্ত হন।

নুরুলহক, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান, রাশেদ খান সহ ৫০ জনের মতো আহত। এরমধ্যে ২৫ -৩০ জন গুরুতর আহত বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে হাসান আল মামুনের পা ভেঙ্গে গেছে, ফারুক হাসান ও মশিউরের মাথায় আঘাত লেগেছে। এছাড়া এপি এম সুহেলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভিপি নুরের কক্ষে আলো নিভিয়ে তাদের বাঁশ ও রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনের আরেক নেতা আহত রাশেদ খান।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে এবং লাইট বন্ধ করে নুরদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এতে ডাকসু ভবনের জানালার গ্লাসসহ আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন বলে জানা গেছে। এসময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন।

জানা গেছে, ঘটনার সময় ভিপি নুরের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরুর কক্ষ থেকে পাঁচ জনকে বের করে দেন।

একপর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তারাও নুরসহ অন্যদেরকে মারধর শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

২৫ জনের মতো এখনো নিখোঁজ । তাদের তুলে নিয়ে গেছে।

Posted by নুরুলহক নুর on Sunday, December 22, 2019

/এসএস

মন্তব্য করুন