

মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুরে আলবদর বাহিনীর যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যিনি, সেই জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারের আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চে বৃহস্পতিবার সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এই রায় দেয়। এই বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।
আজহারুল ইসলাম একাত্তরে ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি। সে সময় তার নেতৃত্বেই যে বৃহত্তর রংপুর এলাকায় আলবদর বাহিনী যুদ্ধাপরাধ ঘটায়- তা উঠে এসেছে এই রায়ে। তবে ওই অঞ্চলের বহু নারীকে রংপুর টাউন হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রে ধর্ষণের জন্য তুলে দেওয়ার যে অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল, সেই অভিযোগ থেকে আপিল বিভাগে খালাস পেয়েছেন আজাহার।
কোন যুক্তিতে তিনি এ অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন, অন্য অভিযোগের শাস্তির মাত্রার ক্ষেত্রে কোন বিচারক ভিন্নমত পোষণ করছেন- সে বিষয়গুলো জানা যাবে আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হওয়ার পর। প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগ আজহারকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আপিল না থাকায় আপিল বিভাগ এ অভিযোগটি আর বিবেচনা করেনি। নিয়ম অনুযায়ী আসামি এই রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে পারবেন। তাতে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত না বদলালে আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। তাতেও তিনি বিফল হলে সরকার সাজা কার্যকরের পদক্ষেপ নেবে।
আই.এ/