
বাইজিদ আল-হাসান, ওমান থেকে
ওমানের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী যশোরের মুহাম্মাদ আবুল হাসান। সফল এই ব্যবসায়ী আরবীদের বিখ্যাত ব্রান্ড হাসান টেক্সটাইলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ওমানিদের জাতীয় ড্রেস পাঞ্জাবি ও আবায়ার যাবতীয় কাপড় সরাসরি জাপান, ইন্দোনেশিয়া, চিন ও তাইওয়ান থেকে আমদানি করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাইকারি বিক্রি করে বেশ সফলতা অর্জন করেছেন বাংলাদেশী এই ব্যবসায়ী। মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে তিনিই এরাবিয়ান পাঞ্জাবির কাপড় আমদানি করে থাকেন।
মুহাম্মাদ আবুল হাসান কথা বলছেন যমুনা টিভির সাথে।
মানুষ তার নিজ ভাগ্য বদলের আসায় কতো কিছুই না করছে। কেউ চাকরি, কেউ ব্যবসা, আবার কেউ পরিবার পরিজন ছেড়ে দূর প্রবাস। দিনথেকে রাত, রাত থেকে দিন এভাবেই পারিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিটা মানুষ। এতো পরিশ্রমের পরেও কি সবাই সফল হতে পারে? সবশেষে দেখা যায় গুটিকয়েক সফল মুখ। যশোরের মুহাম্মাদ আবুল হাসান তেমনই একজন সফল প্রবাসী।
যশোরের অভয়নগরে তার জন্ম, নওয়াপাড়ার একতারপুর গ্রামে তার বেড়ে উঠা, পড়ালেখার জন্য ইউরোপে পাড়ি জমান ২০০৭ সালে, ছাত্র থাকা অবস্থায়ই পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসায় নেমে পরেন। শুরুতে ঢাকায় ব্যবসা করলেও দেশের ব্যবসায় আশানুরুপ সফলতা না পেয়ে চলে যান দেশের সীমানা পেরিয়ে ইউরোপে। সেখানে যেয়ে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য শুরু করলেও ইউরোপের ব্যবসায়ও তেমন সম্ভাবনা না থাকায় ২০১১ সালে চলে আসেন ওমানে
ওমানে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী দের কেন্দ্রস্থল মাতরাহ তে তার রয়েছে হাসান টেক্সটাইল নামে নিজস্ব শোরুম। তার এমন সফলতার গোপন রহস্য কি এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন পরিশ্রম ও সততা ছাড়া ব্যবসায় সফল হওয়া যায়না। তিনি বলেন আমি যতো রাতেই ঘুমাইনা কেনো, এখনও প্রতিদিন সকাল ৮টায় অফিসিয়াল কাজ শুরুকরি, কাজকে সবসময়ই বেশি প্রাধন্য দেই, কখনোই আমি আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে দেইনা। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কাজেও অংশগ্রহন করেন। তার নিজ এলাকা একতারপুরে প্রতিস্ঠিত করেছেন “আমির হামজাহ” নামে একটি হাফেজি মাদ্রাসা ও এতিম খানা। ইতিমধ্যেই তিনি ওমান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন ব্রান্ডের চেইন কফি শপ কোম্পানির উদ্ভোদন করতে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ওমানে প্রথমবারের মতো সকল সিনিয়র বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের নিয়ে “বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ওমান” নামে একটি ব্যবসায়ীক সংগঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন।