‘খেলাফত পদ্ধতিতে শাসন ছাড়া মুসলমানদের উত্থান সম্ভব নয়’

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেছেন, ইসলামের প্রধান শত্রু হলো ইহুদী, খ্রিষ্টান এবং এই দুই সম্প্রদায়ের এজেন্টরা। খেলাফত পদ্ধতির শাসন ছাড়া মুসলমানদের উত্থান সম্ভব নয়। আদর্শিক শ্রেষ্ঠত্বই মুসলমানদের বিশ্বে মর্যাদার আসন দিবে। কেননা সকল মতবাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ মতবাদ হলো ইসলাম এবং অবশ্যই ইসলামই বিশ্ব নিয়ন্তা আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। প্রত্যেক কারবালার মতো যুদ্ধের পরেই ইসলামসহ মহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়।ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট ও কসরে হাদী খানকার উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পীরে কামেল হযরত শাহসুফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা আতাউর রহমান মিয়াজী। বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা ও শায়খুল হাদীস মাওলানা এ, কে, এম, আশরাফুল হক, মাওলানা ফসিহউদ্দিন।

ড. মাওলানা আতাউর রহমান মিয়াজী তার বক্তব্যে আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, কারবালায় সংগঠিত হযরত হোসাইন রা. সহ তার পরিবারের মোট ৭২ জন ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ মর্মান্তিক ঘটনা ইসলামের সূচনাকালে খেলাফত পদ্ধতি ও স্বৈরশাসন ক্ষমতার প্রশ্নে সংগঠিত হয়। এখানে হযরত ইমাম হোসাইন রা. সত্য, ন্যায় ও যোগ্য নেতৃত্বের পক্ষে এবং ইয়াজিদি অন্যায় ও স্বেচ্ছাচারিতা রাজতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে।

পীর সাহেব শাহসুফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামের আচারাদী ও ইবাদতের নিয়ম নীতি, বিষয়বলীর ধরণ, ফয়সালা ও মীমাংসা জ্ঞানে জ্ঞানী ছিলেন হযরত হোসাইন রা.। তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন ছিলেন। কাজেই হযরত হোসাইন রা. এর মত আপোষহীন ভাবে ইয়াজিদি শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে লড়াই করতে হবে।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন