

প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে ইমাম নিয়োগ দিয়ে থাকে কাতার। এবারও ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এ দেশটির অধিকাংশ মসজিদেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয় এবছর ইমাম নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
এজন্য আগ্রহী প্রার্থীকে প্রথমে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের চূড়ান্ত মনোনয়নের আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আবেদন করতে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে:
- আগামী ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় (কবরস্থান) মসজিদে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবার ফরম বিতরণ করা হবে না। কাজগপত্র জমা দিয়ে ৩ অক্টোবরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সিরিয়াল নিতে হবে।
- ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী ধপে ধাপে সাক্ষাৎকার (ইন্টারভিউ) শুরু হবে। ১৬ অক্টোবর (বুধবার) এ ইন্টারভিউ শেষ হবে।
- ইন্টারভিউ চলাকালীন (৪-১৬ অক্টোবর) নতুন করে কোনো রেজিস্ট্রেশন হবে না।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত আলেম বা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র/প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে।
- আবেনদকারীর বয়স হবে সর্বনিম্ন ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।
- প্রত্যেক আবেদনকারীকেই কুরআনের হাফেজ হতে হবে। তাদবিদের সঙ্গে সুকণ্ঠের তেলাওয়াতকারী হতে হবে। তেলাওয়াতে দক্ষণ হতে হবে।
- আবেদনকারীর দুই কপি রঙিন ছবিসহ পাসপোর্ট, জন্মসনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
- উল্লেখিত কাগজপত্র জমা সাপেক্ষে আবেদনকারীর মৌখিক ইন্টারভিউ নেয়া হবে।
- মৌখিক ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণরাই চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য জীবনবৃত্তান্ত ও স্বাস্থ্য সনদ জমা দিতে হবে।
আবেদনকারীর জন্য স্মরণীয়:
কুরআন তেলাওয়াত (হেফঝ), আজান ও ইকামাতের ক্ষেত্রে মক্কা ও মদিনার আজান অনুসরণ করা।
কুরআনুল কারিমের উচ্চারণ তাজবি ও সুন্দর কণ্ঠে তেলাওয়াত করার সর্বাধিক চেষ্টা করা।
সঠিক লাহানে পুরো (৩০ পারা) কুরআন শরিফ ইয়াদ থাকা।
গলা ছেড়ে উচ্চ আওয়াজে তেলাওয়াত করা।
কুরআনের ইয়াদ, তাজবিদ ও লাহানের প্রতি বিশেষ খেলায় দেয়া।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিপ্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবে এবং জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার সনদ থাকলেও তা জমা দেয়া যাবে। তবে তা জরুরি নয়।
/এসএস