

‘আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে ভারত জমি চেয়েছে’- বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন একটি সংবাদের উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা কাসেমী বলেছেন, ‘১ আগস্ট নিউ এজ পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আমরা উদ্বেগজনক অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রজনাথ সিং বাংলাদেশ সফরে এসে প্রথমে এই প্রস্তাব দেয়। উক্ত প্রস্তাবে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মুহিবুল হক ভারতকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে বলেন। এরপর ২০১৮ সালেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দু’জন সিনিয়র কর্মকর্তার যে আলোচনা পত্রিকায় এসেছে, তাতেও ভারতীয় প্রস্তাবের বিপরীতে দৃঢ় কোনো কথা আমরা দেখতে পাইনি’।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের যে বক্তব্য নিউ এজের প্রতিবেদনে এসেছে- সেটা আরো ভয়াবহ। তিনি বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহারের ভারতীয় প্রস্তাবকে পজিটিভলি গ্রহণ করেই ক্ষ্যন্ত হননি, বরং ভারতীয় প্রস্তাবের পক্ষে নানান যুক্তি দাঁড় করাতেই যেনো রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছেন।
বিবৃতিতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী ভারতীয় এই প্রস্তাবের বিষয়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের আলাপ-আলোচনা গণমাধ্যম মারফরত যেটা সামনে এসেছে তাতে জনমনে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। মনে হয়েছে, তাদের কাছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেয়েও ভারতীয় স্বার্থ রক্ষাটাই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। রজনাথ সিংয়ের এই প্রস্তাবের সাথে সাথেই বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান না করা এবং প্রস্তাবটি এতোদিন ধরে গোপন রেখে সংগোপনে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।
জমিয়ত মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, ‘কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য রাষ্ট্রীয় আমানত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার মতো হঠকারিতা দেখাবেন না। ইউরোপ- আমেরিকার গল্প শুনিয়ে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। সরকারে ও সচিবালয়ে যারা আছেন, তারা কঠোরভাবে দেশের স্বার্থ রক্ষা করবেন, আমরা এমনটাই দেখতে চাই। সকলের এটা স্মরণ রাখা চাই, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ড রক্ষায় জনগণ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করে হলেও কখনো আপোস করবে না’।
/এসএস