

ইবনে মূসা :
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘ইসকন’র প্রসাদ বিতরণের প্রতিবাদে হাটহাজারীতে “মুসলিম ছাত্র জনতা ঐক্য পরিষদ”র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। প্রসাদ বিতরণ করা স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জমজমের পানি এবং খেজুর বিতরণ করার কর্মসূচী ঘোষণা করেছে অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি।
এটি নিশ্চিত একটি ভালো কাজ এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে প্রতিবাদ হিসেবে দেশের প্রত্যেক স্কুলে তাকবীরের শ্লোগানও উঠতে পারে।
বাংলাদেশ এমন একটি মুসলিম রাষ্ট্র, যেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে পারে। সমান সুযোগ নিয়ে এ দেশে বসবাস করছে সংখ্যালঘুরা। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি সুযোগসুবিধাই ভোগ করে থাকেন তারা। এ দেশের মুসলিম সম্প্রদায় তাদের প্রতি এতটাই সহনশীল ও উদারমনা, আজ পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করার প্রমাণ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও ছোটখাটো হামলা বা আক্রমণের খবর যা পাওয়া যায়, তা নিতান্তই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কারণে হয়ে থাকে, ধর্মীয় কারণে নয়।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বেশ কয়েক বছর ধরে, হিন্দুসম্প্রদায় থেকে নানাভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উষ্কানী দেওয়ার চেষ্টা করে হচ্ছে৷ কখনও কোরবানীতে গরু জবাই করা যাবে না বলে দাবি তোলে, কখনও নবীজি ও পবিত্র কাবা ঘরকে অবমাননা করে, কখনও হলি উৎসবের নামে মুসলিম নারীদের উত্ত্যাক্ত করে, আবার কখনও সরাসরি পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করে উষ্কানী দেয়। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আলেম সমাজ কিছু না বলাকে সংখ্যালঘুরা দুর্বলতা ভেবেছে কী না জানি না। হয়ত সেজন্যই বারবার ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত হানে তারা! আর ধর্মীয় দাঙ্গা লাগাতেই যে তাদের এই উষ্কানী তাও এখন স্পষ্ট।
সর্বশেষ চট্টগ্রামে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা পেছনের সব অপকর্মকে হার মানিয়েছে। আশ্চর্য হচ্ছি ; অসাম্প্রদায়িক দাবিদার কথিত সুশীলদের মুখে কুলূপ এঁটে বসে থাকতে দেখে। শ্যামল কান্তির জন্য যেভাবে সবাই কান ধরে উঠবস করেছিল, হাইকোর্টের সামনে মূর্তি অপসারণে যেভাবে নাঁকি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল, রংপুরে রাকেশের জন্য যেই দরদ উথলে উঠেছিল, আজ তাদের সেই প্রতিবাদী যৌবন কোথায় হারিয়ে গেলো? বুঝা যাচ্ছে, অসাম্প্রদায়িকতার আড়ালে মূলত তারা ঐক্যবদ্ধভাবে শুধু ইসলামের বিরুদ্ধেই মাঠে নেমেছে!
আর হিন্দুদের ইসলামবিরোধী বক্তব্যের পেছনের খুঁটিও এই কথিত সুশীলরাই। কিন্তু এরা সাহস সঞ্চার করল কোত্থেকে? এরাও তো সংখ্যায় নগন্য। হয়ত বিদেশী প্রভুদের অর্থ প্রভাবে নড়াচড়া করার অক্সিজেন পায় এরা।
চট্টগ্রামে প্রায় ৩০টি স্কুলে বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘ইসকন’ তাদের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী “ফুড ফর লাইফ” কর্মসূচির আড়ালে মুসলিম কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে হরে কৃষ্ণ হরে রাম – জয় শ্রী রাম শ্লোক-মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে হিন্দুরা আসলেই উগ্র জাতি। তারা কতটা উগ্র ও সন্ত্রাসী মনোভাবা, সেটা ভারতে তাকালে সহজেই অনুমান করা যায়। ধর্মপ্রাণ গণমানুষের অন্তেরর ভাষা ও আবেগ বুঝে সরকারকে এখনই উদ্যোগী হতে হবে এই স্পর্ধার সুষ্ঠু সুরাহায়। সংগঠনটির বিলুপ্তি ঘোষণা করে সংগঠনের সমস্ত কলাকুশলীদের শাস্তির আওতায় আনা জরুরী। খতিয়ে দেখা সময়ের দাবী যে, তারা আসলে কী চায় এবং তাদের শেকড় কোথায়।
একটি মুসলিমরাষ্ট্রে হিন্দুত্ববাদী উগ্র ইসকনের প্রতিবাদে প্রাথমিকভাবে সারাদেশের স্কুল হতে সরকারী ব্যবস্থাপনায় তাকবীরের শ্লোগান উঠুক! “নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার”