

মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের গোলাভরা ধান কিন্তু দাম নাই ধানের, সরকার কৃষকদের জন্য ১০৪০ টাকা ধান কেনার কথা বললেও সব কৃষক এই সুযোগ পাননি। ধানে লস হওয়ায় এবছর ধান চাষে অনিহা প্রকাশ করছে চাষীরা। পুরো চুয়াডাঙ্গা জেলায় কৃষকদের লোকসানের কারনে হেক্টর হেক্টর জমি পরে রয়েছে অনাবাদি হয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বতর্মানে এ অঞ্চলে ধান বিজ রোপনের মৌসুম চলছে। কিন্তু কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে না। অনাবাদী পড়ে রয়েছে বিলকে বিল ধাণী জমি। মূলত গত মৌসুমের ধান নিয়ে ব্যাপক ভাঁড়ামির শিকার হয়েই মূলত এবার ধান চাষে অনাগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। চুয়াডাঙ্গা সদর আলমডাংগা ও জিবননগর ও দামুরহুদা উপজেলায় প্রত্যক ওয়ার্ড থেকে ৪ থেকে ৫ জনকে লটারির মাধ্যমে বাছাই করে তাদের ধান ১০৪০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে যা অনেকটা থুথু দিয়ে ছাতু ভিজানোর মতোই। এতে প্রায় সব কৃষকই বঞ্চিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষক রহমত উল্লাহ বলেন, আমার গত বছর ধান ছিল ১০ বিঘা এবার আবাদ করবো ৩ বিঘা, আর বাকি ৭ বিঘা ভুট্টা ও সবজী করবো।
আলমডাংগার আনিসুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত বছর ধান করেছিলাম ৮ বিঘা এবার আবাদ করবো ২ বিঘা। গোলাভরা ধান কিন্তু ধানের ফলন বেশি হলেও দাম না থাকার কারনে লোকসান গুনতে হচ্ছে, লস থেকে বাচার আসায় ধানের দাম বারলেই বিক্রি করবো বলেও জানান আনিসুল।
ধানের আবাদ কম হচ্ছে কেন এ ব্যপারে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আলী হাসান বলেন, কৃষকদের লসের কারনে কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ করছেন না।
এদিকে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্টান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএডিসি) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমন মৌসুমের ধান সব অবিক্রিয় থেকে গেছে। বিএডিসি কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিজের ডিডি আশরাফুল আলম বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছরে ধান কিছুই বিক্রয় হয়নি। কৃষকরা লসের কারনে ধান বিক্রি করেননি। আবাদ করতেও অনিহা প্রকাশ করছে এবার।
এ ব্যপারে বিএডিসি কুষ্টিয়া অঞ্চলের ডিডি একেএম কামরুজ্জামান শাহিন বলেন, চলতি অমন মৌসুমে ধান প্রায় সবই অবিক্রিয়। কৃষকরা ধানের আবাদ করতে অনিহা প্রকাশ করছে বিধায় বিএডিসি বিজ ডিলাররা বিজ উত্তোলন করছে না। এতে বিএডিসির ব্যপক লস হচ্ছে তিনি আরোও বলেন ধানের দাম বেশি হলে হয়ত কৃষকেরা ধানের আবাদ করতো।
এ ব্যপারে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিশিষ্ট বিজ ব্যবসায়ী আবু জাফরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছরে বিজ কিছুই বিক্রি হয়নি তার গুদামে দেখা যায় শত শত বস্তা ধান পড়ে রয়েছে। এতে হতাশ এ বিজ ব্যবসায়ী। আবু জাফর বলেন, শুধুমাত্র তিনি একা নন; চুয়াডাঙ্গা জেলার সব বীজ ব্যবসায়ীরাই হতাশার ভিতরে রয়েছেন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন ধানের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ধানের দাম চিকন বাদে- ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা পর্যন্ত ধান বিক্রয় চলছে। আর সুগন্ধি জাত ধানগুলো ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
/এসএস