দনিয়া-রসুলপুরের বাসা-বাড়িতে চলছে পানির জন্য হাহাকার!

ওয়াসা

প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০১৯
শনিরআখড়া এলাকা খাবার পানির জন্য সারিবদ্ধ সিরিয়াল। ছবি: পাবলিক ভয়েস

যাত্রাবাড়ীর কাজলা, দনিয়া , রসুলপুর ও শনিরআখড়া এলাকায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে পানির জন্য তুমুল হাহাকার। বাসা বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ব্যবহার্য পানি থেকে শুরু করে খাবার পানির সংকট চলছে। রান্না-বান্না, থালা-বাসন ছাড়াও কাপড়-চোপড় ধোয়ার জন্য্য এই এলাকার বাসিন্দাদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এমনকি গোসলও পর্যন্ত করত পারছে না লোকজন।

বাসা বাড়িতে ব্যবহার্য পানির পাশাপাশি খাবার পানিরও সংকট চলছে। বিদ্যুত না থাকায় ওয়াসার পানির পাম্পে গিয়ে খাবার পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্য ব্যবহার্যসহ গোসলের পানির জন্য বিপাকে পড়ছে বাসা-বাড়ি, স্কুল-মাদরাসাসহ বিভিন্ন আবাসিক বাসিন্দারা।

পানি

পানির জন্য সারিবদ্ধ কলস-বালতি। ছবি: পাবলিক ভয়েস

কাজলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক শিক্ষক আল ফুয়াদ জানান, ‘এমনিতেই প্রচন্ড গরমের অস্বস্তিতে নাকাল অবস্থা। গরমে-ঘামে ক্লান্ত হয়ে একটু ফ্রেশ হবো তার সুযোগ হচ্ছে না। নিয়মিত গোসলও করতে পারছি না। একদিন দুদিন পরপর গোসল করা লাগে পানি জমিয়ে রেখে। মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বিপদে। কেউ কেউ দূরে কোথাও গিয়ে গোসল করছে’। পানির এই তীব্র সংকট ভোগান্তির মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থী।

দনিয়ার ভাড়াটিয়া মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সারাদিন অফিস শেষে বাসায় এসে হাত-মুখ ধোয়ার জন্যও পানি পাচ্ছি না। দোকান থেকে পানির বোতল কিনে মুখ ধুতে হয়। এটা একটা অসহ্যরকম যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভোগান্তির কোনো সীমা নাই। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে অথচ এর কোনো প্রতিকারের লক্ষণ দেখছি না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের যেন এখানে কিছুই করার নেই। কর্তৃপক্ষের কোনো দায়িত্ববোধ আছে বলে মনে হয় না।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রসুলপুর, দনিয়া ও শনিরআখড়া এলাকায় দেখা গেছে দুপুর থেকে পানির জন্য লাইনে বোতল, গ্যালন বা কলস রেখে অপেক্ষা করছে স্থানীয়রাা। কেউ কেউ পানির পাত্র সিরিয়ালে রেখে দূরে কোথায় বসে রইছে কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজন সারতে চলে গেছে। বাচ্চারা পাম্পের পাশেই নিজেদের পানির পাত্র রেখে খেলা করছে কিংবা দাঁড়িয়ে-বসে থেকে অলস সময় কাটাচ্ছে।

পানির সংকট

বোতলে পানির পাইপ লাগিয়ে কিশোরের অপেক্ষা। ছবি: পাবলিক ভয়েস

এ ব্যাপারে মডস জোন-৭ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবিদ হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

/এসএস

মন্তব্য করুন