
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় টয়লেটের ট্যাঙ্কির ভেতরে নেমে কাজ করতে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে কলেজছাত্র তারেক খান (১৯) ও নির্মাণ শ্রমিক শাহাদাত হোসেন ঘোরাপি (২০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাচক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তারেক পাচক গ্রামের লিটন খানের ছেলে ও শাহাদাত একই গ্রামের শাহ আলম গোড়াপীর ছেলে। তিনি শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
আহতরা হলেন- একই এলাকার শব্দর আলীর ঘোরাপির ছেলে রুবেল ঘোরাপি (৩৫), আবু বাশার ঘোরাপির ছেলে অপু ঘোরাপি (২৬) ও আলী হোসেন বাঘার ছেলে আজিজুল বাঘা (৩০)। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়িটির মালিক নিহত শ্রমিক শাহাদাতের চাচা সালাউদ্দিন ঘোরাপি। আজ শুক্রবার দুপুরে ওই বাড়ির নবনির্মিত টয়লেটের ট্যাঙ্কিতে নামেন শাহাদাত। কিছুক্ষণের মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করতে প্রতিবেশী কলেজছাত্র তারেকসহ চার যুবক ট্যাঙ্কির ভেতরে নামেন। একে একে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলে তারেক ও শাহাদাতের মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পর বাড়ির মালিক সালাউদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন ভয়ে তালাবন্ধ করে পালিয়ে যায় বলেও জানান স্থানীয়রা।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

