

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছেন গবেষকরা৷ কিন্তু কীভাবে সম্ভব এটি?
শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি
২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির কোনো বিকল্প নেই, বলছেন ফিনল্যান্ডের লাপ্পেনরানটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ আর এটি করতে হবে সব দেশেই৷ তাঁরা বলছেন, তেল, গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার শুরু করতে পারলে অন্তত শতকরা দুই ভাগ অর্থও সাশ্রয় হবে৷
প্রয়োজন সূর্যালোক ও বাতাস
কার্বনমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে হলে গতানুগতিক শক্তির উৎস অর্থাৎ তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে৷ এক্ষেত্রে সূর্যের আলো ও বাতাস হবে বিকল্প উৎস, বলছেন গবেষকরা৷
সৌরশক্তিই প্রধান উৎস
কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে তার একটি হিসেবও দিয়েছেন গবেষকরা৷ তাঁরা জানান, শতকরা ৭০ ভাগ সৌরশক্তি, আঠারো ভাগ বাতাসচালিত শক্তি, শতকরা পাঁচ ভাগ বায়োমাস ও শতকরা তিন ভাগ হাইড্রোপাওয়ার উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে৷
প্রয়োজন লাগসই প্রযুক্তির
এ উৎসগুলো থেকে জ্বালানি উৎপাদন করতে হলে প্রয়োজন লাগসই প্রযুক্তির৷ ইসরায়েলের উদাহরণ দিয়ে গবেষকরা বলেন, দেশটি সোলার সেল ও ব্যাটারি দিয়ে নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করছে৷
বাড়বে কর্মসংস্থানও
গবেষকদের অনুমান ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে নয় দশমিক সাত মিলিয়ন৷ প্রস্তাবিত নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হবে আধুনিক প্রযুক্তির৷ আর এখানেই তৈরি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান, বলছেন গবেষকরা৷
কী করা যেতে পারে
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকরা৷ এর মধ্যে রয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদক ও এর ব্যবহারকারীদের অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রদান, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের উপর প্রদেয় অথনৈতিক প্রণোদনা বন্ধ করা এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর করারোপ করা৷ ডয়চে ভেলে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস