

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম বন্দর আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। ৪০ বিলিয়ন ডলারের এসব অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়িতে কয়লা চালিত বৃহদাকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ।’
তিনি আরও বলেন, এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আমদানিকৃত পণ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনায় গ্রহণ করা এবং সেগুলো যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে আ.লীগ সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। স্বয়ংক্রিয় কন্টেইনার অপারেশন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সিটিএমএস এবং বন্দরে নিরাপদে জাহাজ যাতায়াত ও বহির্নোঙ্গরে অবস্থানকালে জাহাজসমূহকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে আধুনিক ভিটিএমআইএস চালু করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম ডিজিটাল করা হচ্ছে। বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ীতে বন্দর কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বর্তমানে এ বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের দক্ষতাসূচক নিরুপণকারী সংস্থা এলআইওওয়াইডিএস কর্তৃক বিশ্বের ১০০টি সমুদ্র বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ২০০৯ সাল থেকে ২৮ ধাপ এগিয়ে এখন ৭০তম স্থানে রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহকে ব্যবহারের সুবিধা প্রদানের জন্য এটিকে আরো আধুনিক ও আকর্ষণীয় বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে। আমাদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এ অর্জনের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে বৈদেশিক বাণিজ্য। বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সমুদ্র বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নয়, সভ্যতার ক্রমবিকাশে এ বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস