

বাইজিদ আল-হাসান, ওমান: বিশ্বের আঠারোটি দেশের প্রায় সতেরো শো ছাত্রছাত্রী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট। যে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ সম্পুর্নও বাংলাদেশি। ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্বাবধানে পরিচালিত হলেও ইতিপূর্বে পরিচালনা পরিষদ নিয়ে কমিউনিটিতে ছিলো বেশ আলোচনা ও সমালোচনা। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন-২০১৯।
সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে স্কুল ক্যাম্পাসে এ ভোটগ্রহণ চলে। উৎসবমুখর পরিবেশে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিতে ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ নির্বাচন অত্যন্ত প্রানবন্ত হয়ে ওঠে। ৬৭০ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করে, এতে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫ জন বিজয়ী হয়।
বিজয়ীরা হলেন ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, ডঃ শেখর মাহমুদ, মিসেস শাহেদা বেগম সোমা, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ও মোহাম্মদ আবদুল লতিফ। নির্বাচন পরিচালনা করেন বর্তমান বিওডি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওমান ও ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিবৃন্দ।
নতুন এই কমিটির কাছে কমিউনিটির প্রত্যাশা “তারা যেন কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখার মান উন্নয়নে দলমত ও সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট-এর জন্য কাজকরবে। সেইসাথে ছাত্রছাত্রীরা যাতে একাডেমিক নৈতিক ও দৈহিক এই তিনটি ক্ষেত্রে যথার্থ শিক্ষালাভ করে কর্মক্ষম ও সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারে সেই দিকেও বিশেষ লক্ষ রাখার অনুরোধ করেন অবিভাবকরা।
উল্লেখ্য, ওমানে এটিই বাংলাদেশীদের সবথেকে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানটি ইতিপূর্বে এডেক্সেল সিলেবাসে ভালো ফলাফল করে সারা বিশ্বে তিন নাম্বার অবস্থান অর্জন করেছিল। স্কুলটির এমন অর্জনে খুশি ওমান প্রবাসীরা। বর্তমানে স্কুলটিতে বাংলাদেশি ছাড়াও আঠারোটি দেশের শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদেশের মাটিতে এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। দৃষ্টি নন্দন সবুজ মাঠটি যেন স্কুলের সৌন্দর্য্য আরো ফুটিয়ে তুলেছে। ওমানের মাটিতে এমন একটি প্রতিষ্ঠান পেয়ে বেশ খুশি ওমান প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
আইএ/পাবলিক ভয়েস