

– যৌনশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি?
– আমাদের সমাজে যৌনশিক্ষা কেমন হওয়া উচিত?
– কওমী মাদরাসায় এ ধরণের শিক্ষা কিভাবে দেয়া হয়?
– বাংলাদেশে প্রচলিত যৌনশিক্ষা সমাজের জন্য কতটুকু উপকারী?
সামাজিক যে কোন ট্যাবু বা কুসংস্কারকে আমি ঘৃণা করি। সময়ে সময়ে সামাজিক কুসংস্কার অনেক জীবনের স্বাভাবিক গতি পর্যন্ত নষ্ট করে দেয়। বিশেষ করে আমাদের দেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের “মাসিক ঋতুস্রাব” “ব্রেস্ট সমস্যা” “জরায়ুর ক্ষত” ইত্যাদি বিষয়গুলোতে কিছু সমাজিক ট্যাবুর কারণে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্থ হয়। বিয়ের আগে বা পরে সেসব মেয়েরা অনেকে বেশ বড় রকমের বিপদেও পড়ে। আমার ভার্সিটিতে একবার জেনেছিলাম এক মেয়ে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে তিন বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু তার পরিবারকে বলতে পারছে না তার এই ভয়াবহ রোগের কথা। এই কিছু বছর আগেও আমাদের দেশে মেয়েরা ঋতুস্রাবের সময় ন্যাপকিন ব্যবহারকে ট্যাবু মনে করতো_অথচ অসাস্থকর বা বেখায়লি হয়ে মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় পার করা কতটা ক্ষতিকর তা হয়ত অনেকেই জানে না। এতে জরায়ু ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। দেখা দিতে পারে ভয়াবহ রকমের জরায়ুর ক্ষত। বিয়ের পর স্বামীর সাথে স্বাভাবিক দৈহিক মিলনও বাধাগ্রস্থ হতে পারে এসব ক্ষেত্রে। তাই কিছু বিষয়ে সামাজিক ট্যাবু ভাঙ্গা জরুরী এটা আমি মানি।
কিন্তু! ক্লাশ সিক্সের ছেলে-মেয়েদের একত্র করে বসিয়ে তারপর দেহের স্পর্শকাঁতর অঙ্গ চিনিয়ে দেয়া, সেক্স লাইফ কিভাবে পার করা উচিত এসব বুঝিয়ে দেয়া বা কথিত অবৈধ নিরাপদ সেক্সের জন্য “কনডম” চিনিয়ে দেয়া এসব কোনভাবেই সঠিক দৈহিক জ্ঞান হতে পারে না। যে সিস্টেমে_যে নিয়মে এর প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে তাতে সমাজের নীতি-নৈতিকতা বা সামাজিক ভারসম্য হারিয়ে যাবে খুব শীগ্রই।
যৌনজ্ঞান বা দৈহিক জ্ঞানের কিছু ক্ষেত্র আছে, বয়স আছে_এমনকি পরিবেশেরও বিষয় আছে। যৌনতা একটি প্রাইভেট বিষয় এটা কোন পাবলিক প্রোপার্টি নয় যে জনসম্মুখে পশুর মত এটা করা হবে। এটাকে প্রাইভেট রাখাই নিরাপদ এবং যুক্তিযুক্ত। এই প্রাইভেট বিষয়টাকে পাবলিক করে দেয়া মানে সেক্সলাইফকে উম্মুক্ত অবাধ বিচরণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলা। সমাজে অনেকটাই পশুত্ব ছড়িয়ে দেয়া। স্যরি! এক্ষেত্রে জন্তু-জানোয়ারের বিষয়টা অন্যায় নয় বরং প্রাকৃতিকভাবেই তাদের বিষয়টা এমন যেটা মানুষের ক্ষেত্রে নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্মুক্ত যৌনস্বাধীনতার দেশগুলোতেও সেক্সলাইফ পাবলিক নয় বরং প্রাইভেট।
সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে যৌনশিক্ষার একটি বিশেষ কোর্স চালু হয়েছে। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় তিনশ স্কুলে এমনকি কর্তৃপক্ষের দাবি অনুসারে কিছু মাদরাসাতেও এ ধরণের বিশেষ শিক্ষার কোর্স চালু করা হয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে মজার বিষয় যেটা রয়েছে_সেটা হলো, তারা এক্ষেত্রে মাদরাসায় এ বিষয়ে বেশি পজেটিভ এবং ভালো সাড়া পেয়েছে। তাদের কার্যক্রমে যেখানে বিভিন্ন উপায়ে অনেকটা খেলার ছলে দৈহিক জ্ঞান বিতরণ করা হয়। ক্লাশ সিক্সের ছেলে মেয়েদের পাশাপাশি বসিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এসে যৌন বিষয়ক বিভিন্ন লেকচার দিয়ে থাকেন। মেয়েদের, ছেলেদের তাদের প্রাইভেট অর্গান সম্পর্কে খোলামেলা ধারণা দেয়া হয় সেখানে। প্রাপ্ত রিপোর্টে দেখা গেছে বেশ অভিনব কায়দাতেই সেক্সলাইফ বা যৌনজীবন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয় কিশোর-কিশোরীদের।
বিবিসি বাংলার এক রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কথা বলা শুরু করেছেন কিন্তু এর ধারাবাহিকতা অনেক পুরনো। ডয়চে ভেলে এ বিষয় নিয়ে এর আগেও ধারাবাহিক আর্টিকেল এবং ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেসব স্কুলে এ ধরণের শিক্ষা দেয়া হয় সেটাও নতুন নয়। বেশ ক’বছর আগ থেকেই এ বিষয় নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে সেখানে। দেশের খ্যাতনামা স্কুলগুলোতে উঠতি কিশোর কিশোরীদের এ বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার প্রসেসিং চালু হয়েছে তারও আগে। ২০১০ সালের প্রণীত শিক্ষানীতিতে কিশোর কিশোরীদের এ বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে তাই পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। কিন্তু শুধু বইয়ের পাতা থেকে এ ধরণের শিক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই অনাগ্রহী তাই ভিন্ন প্রসেসিংয়ে বিষয়টা কিশোর-কিশোরীদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মোটাদাগে যদি র্যাপিড ফায়ার প্রশ্নে হ্যাঁ, না শব্দে “এ ধরনের শিক্ষা প্রয়োজন কি না” উত্তর দিতে বলা হয় তবে উত্তর দেয়া যাবে না। এমন অসংখ্য বিষয় আছে যা হ্যাঁ, না শব্দে উত্তর দেয়া যায় না। যেমন ধরেন আপনাকে কেউ বললো, “কাল রাতে চুরি করার পর তোমাকে যে থাপ্পড় দিয়েছিলাম তাতে কী তুমি ব্যাথা পেয়েছো? তুমি হ্যাঁ, না শব্দে উত্তর দিবা” তাহলে আপনি উত্তর দিতে পারবেন না কারণ আপনি রাতে চুরিই করেননি। এ বিষয়টাও এমনই! কিশোর-কিশোরীদের যৌনশিক্ষা বা এ ধরণের দৈহিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে কি না যদি বলা হয় তাহলে হ্যাঁ, না শব্দে উত্তর দেয়া যাবে না তবে যদি বলা হয় “উপযুক্ত পরিবেশ, সামাজিক মূল্যবোধ বিবেচনায় সঠিক পরিবেশ সৃষ্টি না করে এ ধরণের শিক্ষা দেয়া যাবে কি না”? তবে এক কথায় হাজার বার উত্তর হবে_না, দেয়া যাবে না। কোনক্রমেই দেয়া যাবে না।
বাংলাদেশেও ঠিক এ বিষয়টাই হচ্ছে! উপযুক্ত পরিবেশ তো সৃষ্টি করা হয়ইনি সাথে সাথে ভয়ানক এক ফাঁদে আটকে ফেলা হচ্ছে এই উঠতি কিশোর-কিশোরীদের। কেন করা হচ্ছে এটা? বড় প্রশ্ন_উত্তরটাও জটিল। তবে অনুসন্ধানে কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা অথেনটিক দাবি করবো না তবে সম্ভাবনার সম্ভাবনা অনেক বেশি!
বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ। এদেশের জনগণের মনে ইসলামের শেকড় বেশ মজবুত। সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় চেতনা বেশ শাণিত। মুসলিম ছেলে-মেয়েদের তাই উঠতি বয়স থেকেই নৈতিকতার দিক থেকে লাইনচ্যূত করার একটা সাংস্কৃতিক আগ্রসন পরিচালনা করা হচ্ছে কোন নীল নকশার মাধ্যমে। এই একটি বিষয় যদি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে মুসলিম হওয়ার সুবাধে যে নৈতিক মূল্যবোধ ধারণ করে এদেশের মানুষ সেটার বারোটা বাজিয়ে দেয়া সম্ভব বেশ চতুরতার সাথেই। এই প্রজন্ম না হলেও পরের প্রজন্ম সেভাবেই বড় হবে! ধরেন, আপনি একটা ছেলে! আপনার সামনে একটি মেয়েকে বসিয়ে স্বাধীনভাবে একটি মেয়ের দেহের সাবলিল বর্ণনা দেয়া হয় কোন রাখঢাক না রেখে এবং যদি আপনার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে তাহলে আপনি নিজেকে মেয়ের দেহের সাথে লেপ্টে থাকার দৃশ্য কল্পনা করা মজ্জাগত এবং প্রাকৃতিগত বিষয়। একই বিষয় একটি মেয়ের ব্যাপারেও। তখন সবার সামনে কোনভাবে দেহে লেপ্টে যাওয়ার বিষয়টা অ্যাপ্লাই করতে না পারলেও সুযোগের প্রচেষ্টা থাকবেই তাদের। অনেক ক্ষেত্রে তো দেখাই যায়_ক্লাশরুমে পেছনের টেবিল থেকে সামনের টেবিলের মেয়েটির বগলের নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে বসে আছে কোন অর্গান চিনে নেয়া ছেলে। ক্লাশরুমেই একজন অন্যজনের ঠোটে একে দিচ্ছে মধুর আল্পণা। এ উদহরণ শত শত দেয়া যাবে। স্কুলড্রেসের কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন দৈহিক কসরতের দেখাও মিলবে একটু তালাশ করলেই।
এক্ষেত্রে মেয়ের বিষয়টা আরও কঠিন কারণ সামাজিক ভাবে চারিত্রিক এবং নৈতিকতার ভারসম্য রক্ষা করে থাকে মেয়েরা। তারা স্বভাবগতভাবে লাজুক এবং নিজেদের দাবিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে নয়ত তারাও যদি পুরুষের মত যৌনতার ক্ষেত্রে আগ্রাসী হতো তবে ধর্ষণের উল্টোরূপ কয়েকগুন বেড়ে যেত। এই মেয়েদের মধ্যে যে চাঁপা স্বভাবটা থাকে_নিজেকে দাবিয়ে রাখার যে ক্ষমতা থাকে এটাকে যদি ভেঙ্গে দেয়া যায় তবে সমাজের ভারসম্য নষ্ট করে দেয়া এবং চারিত্রিক অধঃপতন বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়া খুবই সহজ। কেমন যেন মনে হয় এ কাজটিই করা হচ্ছে বেশ চতুরতার সাথে।
এবার আসি কিশোর কিশোরীদের এই শিক্ষাটা প্রয়োজন আছে কি না?
এ বিষয়টা আগেই বলেছি যে এর উত্তর হ্যাঁ, না দিয়ে দেয়া যাবে না। এখানে উত্তর দিতে হবে ঘুচিয়ে। মোটকথা সংক্ষেপে বললে, এ ধরণের শিক্ষার প্রয়োজন আছে। ইসলামেও এর অনুমোদন আছে। তাছাড়া ইসলামের বিধানগত কিছু বিষয়ও আছে এখানে। মজার বিষয় হলো, মাদরাসা শিক্ষায় বেশ শুরু থেকেই এ ধরনের শিক্ষাটা দেয়া হয় ফিকহ্’র কিতাবে। কিন্তু সেটা বেশ পরিকল্পিত এবং গোছালো। পরিবেশ, ভারসম্য সব রক্ষা করে তবেই দেয়া হয়। মহিলা মাদরাসা হওয়ার পর কিশোরী মেয়েরাও মাদরাসা থেকেই এ শিক্ষাটা নিতে পারে। কিশোর-কিশোরী বয়সেই একটি মাদরাসা শিক্ষার্থী জানতে পারে স্বপ্নদোষ কাকে বলে। স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কী। ঋতুস্রাব কী। ঋতুস্রাব হলে একটা মেয়েকে কী করতে হবে। এমনকি ঋতুস্রাবের ব্লাড-কালার সম্পর্কেও সেখানে স্পষ্ট ধারণা দেয়া আছে। কোন রংয়ের কী বিধান তাও জানা যায়। এমনকি মহিলা মাদরাসা হওয়ার আগে এবং এখনও ছেলেদের এ শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে বলে দেয়া হয়_নারীদের বিষয়ে জানানো হচ্ছে যাতে করে তুমি নিজের স্ত্রী, বোনদের বুঝিয়ে দিতে পারো এসবের বিধান।
মাদরাসায় যে দৈহিক শিক্ষাটা দেয়া হয় তা বেশ পরিমিত পর্যায়ে এবং এর সাথে সাথে থাকে নৈতিকতা এবং চরিত্র গঠনের কঠোর অনুশাসন। এ কারণেই ভারসম্য এবং পরিবেশ রক্ষা হয়। অনেকটাই সুড়সুড়িমূলক শিক্ষা হওয়া সত্বেও নৈতিকতার কঠোর অনুশীলনের কারণে কোন ভয় থাকে না সেখানে। আমার এক উস্তাদ কুদুরী (মাদরাসার একটি বই, যেখানে এ বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে) পড়ানোর সময় এ ধরণের বর্ণনা এলে শুরুতেই বলে নিতেন_এ মাসয়ালা আমাদের মা-বোনদের জন্য! এই একটি বাক্যেই এসব বিষয়ে সুড়সুড়ি দুর করে ফেলতে সক্ষম।
এই যে নৈতিকতার কঠোর অনুসরণ এটা নিশ্চিত করা না গেলে এ ধরণের শিক্ষা ভয়ানক আকার ধারণ করবে এমনকি তা যদি হয় কিশোর-কিশোরীদের একত্রে বসিয়ে তাদের পারস্পরিক লজ্জা ভেঙ্গে দেয়ার কৌশল তবে তা এক কথায় ভয়াবহ হয়ে দাড়াবে। তাই এ ধরণের শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। কেউ করতে না চাইলে তাকে সতর্কতা অবলম্বন করারাতে বাধ্য করতে হবে কারণ পরবর্তি প্রজন্ম রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব।
এরপর আসা যাক, কতটুকু শিক্ষা দিতে হবে সে বিষয়ে।
শারীরিক শিক্ষা বা যৌন শিক্ষা কতটুকু দিতে হবে সে বিষয়ে আগে সমাজের সব ধরণের মানুষের সাথে বসে একটি সিমারেখা টেনে নিতে হবে। যে সিমার ওপারে কোনভাবেই যাওয়া যাবে না। এখানে কনডম কেন চিনিয়ে দিতে হবে তা আমার বোধগম্য হয়নি। এই একটা বিষয়েই পরিস্কার হয়ে যায় যে, এখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে। কারণ যদি বলা হয় এটাও দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি অনুসঙ্গ তাই এর ব্যবহার শেখানো দরকার। তাহলে বলতে হবে_সেক্স-ভাইব্রেটর, সেক্স-টয়, ব্লোজব, অ্যানাল, লেসবিয়ান, গে এবং আরও আরও অনেক তথাকথিত আধুনিক (!) যেসব সেক্স অনুসঙ্গ আছে সেসবও কি শেখানো শুরু হবে? “জানতে হবে” শর্তে তো এসবও শিখতে হবে ভবিষ্যতে তাহলে। জানারও তো সিমারেখা থাকতে হবে। আমার এখন রাস্তায় একটি মেয়েকে দেখে যদি তার ব্রেস্ট-সাইজ জানার ইচ্ছে তৈরি হয় এবং “জানতে হবে” শর্তে জানতে চাই_তাহলে এটা কী অনুমোদন করবে কেউ? এই অতিমাত্রায় “জানানোর” দ্বারা কিশোর কিশোরীদের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা মনে হয় বুঝিয়ে বলা লাগবে না আর।
তাই সামাজিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার মানদন্ড আগে ঠিকঠাক করে তারপর এই শিক্ষার সিমারেখা টানতে হবে নয়ত পশুত্বে ভরা একটা সমাজ আমরা পাবো খুব অদুর ভবিষ্যতেই।
সর্বশেষ সংক্ষিপ্ত আকারে কয়েকটা বিষয় বলতে চাই।
১. দৈহিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে তবে এ শিক্ষা দেয়াটাই সবচেয়ে উপযুক্ত কারণ ধর্মে এ বিষয়ে বেশ সুন্দর সমাধান আছে।
২. মাদরাসা শিক্ষাব্যাবস্থার এ অংশটুকু অনুসন্ধানে নেয়া যেতে পারে কারণ এ বিষয়ে সবচেয়ে যুগোপযোগী ব্যাবস্থাপনা মাদরাসা শিক্ষাতেই রয়েছে।
৩. জেন্ডার সিলেকশন প্রথায় এ শিক্ষা দিতে হবে। “ছেলেদের জন্য পুরুষরা। মেয়েদের জন্য নারীরা” এ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা দিতে হবে।
৪. কিশোর-কিশোরীদের পরিবার এবং অভিবাবকদের মাধ্যমে এ শিক্ষা পৌছানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।
৫. কতটুকু শিক্ষা দিতে হবে বা দেওয়া হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট সিমারেখা টেনে নিতে হবে।
মনে রাখতে হবে; আমাদের সমাজ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের নৈতিকতা রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। কোন ষড়যন্ত্রকারীদের আমাদের প্রজন্ম ধ্বংশ করার নীল নকশা বাস্তবায়ন আমরা দেবো না।
[লেখাটা ব্যক্তিগত চিন্তা-ধারার উপর লেখা। কোন দল-মত বা গোষ্ঠিগত চিন্তা নয়]
হাছিব আর রহমান।
নির্বাহী সম্পাদক : www.publicvoice24.net