

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ কওমীয়া মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস সমাপনী ছাত্রদের বুখারী শরীফের শেষ দরস (ক্লাশ) উপলক্ষে খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামিয়ার পুরুষ শাখার দাওরায়ে হাদিসের ৫২ জন এবং মহিলা মাদরাসা শাখার ১৫ জন ছাত্রী এ বছর খতমে বুখারীর দরস নিয়েছেন।
খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ মাদরাসার প্রধান পরিচালক মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বিশেষ অতিথি হিসেবে বরিশালের মাহমূদিয়া মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা উবায়দুর রহমান মাহবুব এবং বরিশালের প্রধান প্রধান আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
খতমে বুখারীর শেষ দরসে বুখারী শরীফের শেষ হাদিসের সবক প্রদান করেন চরমোনাই জামিয়াসহ দেশের বেশ কয়েকটি কওমী মাদরাসার শাইখুল হাদিস মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম ছাত্রদের দীনি ইলম শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা আদর্শ নাগরিক গড়ার প্রানকেন্দ্র। কওমী মাদরাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদেশে আদর্শ ও দক্ষ নাগরিক তৈরি হচ্ছে। তিনি দীনী ইলমকে ইসলামের স্বার্থে কাজে লাগানোর অনুরোধ করেন ছাত্রদের।
শেষ সবকে মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, দীনি ইলম শিক্ষা করতে সবার আগে নিয়ত ঠিক করে নেয়া জরুরী তাই ইলম শেখার উদ্দেশ্য যেন হয় কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলোচকরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত গড়ার দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা পেশ করেছেন।
খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আলিয়া শাখার প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, চরমোনাই জামিয়ার কওমীয়া শাখার প্রধান মুহাদ্দিস ও শায়খুল হাদিস মুফতী আ. মান্নান, শায়খে বুখারী মাও. শিহাব উদ্দিন আশরাফ, কওমীয়া শাখার দারুল ইফতার প্রধান মুফতী আ. মান্নান, আলিয়া শাখার প্রধান মুহাদ্দিস মাও. নেজাম উদ্দিন, কওমীয়া শাখার নাজেমে তালিমাত মাও. আ. কাদের, আদব বিভাগের প্রধান মাও. মিজানুর রহমান ও জামিয়ার উস্তাদসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।
উল্লেখ্য : চরমোনাই মাদরাসা একটি বহুমূখী প্রতিষ্ঠান। একই সাথে কওমী মাদরাসা, আলীয়া মাদরাসা ও মহিলা মাদরাসাসহ বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড নামে স্বতন্ত্র মাদরসা শিক্ষা বোর্ডও রয়েছে তাদের। সকল শাখা মিলে চরমোনাই মাদরাসায় ছয় হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করে থাকেন। এছাড়াও সারাদেশে কুরআন শিক্ষা বোর্ডের অধিনে বিশের অধিক দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত মাদরাসাসহ কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের।