
পাবলিক ভয়েস: কিশোরগঞ্জে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে শহরের গাইটাল এলাকায় সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়।
প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী গাইটাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল ডুবাইল এলাকার হামলার শিকার সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা ভোটকেন্দ্র গিয়ে ভোট দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ওপরে এ হামলা চালানো হয়েছে। সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে ডুবাইল গ্রামের আজিজুল হাকিমের স্ত্রী সুফিয়া জানান, তিনি কয়েকদিন আগে বিদেশ থেকে এসেছেন। সন্ত্রাসীরা তার সব কিছুই লুট করে নিয়ে গেছে।
ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী গাইটাল এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়ক আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় তারা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ঢেলে সড়কের আগুন নিভানোর পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এলাকাবাসী এ ঘটনার জন্য সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলামকে দায়ী করে তার বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত লতিবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা নির্বাচনে যাইনি, কাউকে সমর্থনও করিনি। এলাকার ছোট ছেলেদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

