

বাংলাদেশের বিভিন্ন কওমী মাদরাসাতেই শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে দাওরায়ে হাদীসের কিতাব সিয়াহ সাত্তাহর সর্বোচ্চ হাদিসগ্রন্থ বুখারী শরীফের খতম করা নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি গতকাল (২৫ মার্চ) চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা আল জামিয়া আল ইসলামিয়া (জমিরিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসা) পটিয়ার দাওরায়ে হাদিস সমাপনী বর্ষের হাদিস শাস্ত্রের সর্বোচ্চ হাদিসগ্রন্থ বুখারী শরীফের শেষ সবক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী। তিনি তার আলোচনায় খতমে বুখারী প্রসঙ্গে মতামত প্রদান করেছেন যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি দেওবন্দের মুহতামিম খতমে বুখারী আয়োজন বিদয়াতের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আ. হালিম বুখারীর সাথে পাবলিক ভয়েসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নু’মানী পটিয়া মাদরাসার খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে ‘খতমে বুখারী আয়োজন’ বিদয়াতের পর্যায়ে পৌছেছে বলে মন্তব্য করেছেন কি না জানতে চাইলে আল্লামা আ. হালিম বুখারী বলেন,
“তিনি তার বক্তব্য এটাকে বিদয়াত বলেননি। খতমে শেষ হাদীসের দরস এটা তো ঠিক আছে, এ আয়োজনে কোন দোষ নেই” বরং তিনি বলেছেন, “খতমে বুখারী আয়োজনের এ বিষয়টা যেন জরুরী পর্যায়ের রূসম-রেওয়াজে পরিণত না হয়” সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
“খতমে বুখারী বিষয়ে আপনাদের স্পেসিফিক মতামত কী” জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“বুখারী শরীফের আখেরী (শেষ) হাদীস পড়ানো এবং সে উপলক্ষে দোয়া-মুনাজাত করা এটা তো ভুলের কিছু না। এতে দোষেরও কিছু নেই। দেওবন্দের মুহতামিম যেভাবে বলেছেন তা হলো, এটা যেন কোন নির্দিষ্টতার তালিকায় চলে না যায় এবং এটা কোনভাবে রেওয়াজে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে তাছাড়া বাড়াবাড়ি তো ইসলাম কোনকিছু নিয়েই সমর্থন করে না”
দেওবন্দের মুহতামিম খতমে বুখারি বন্ধ করার কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“না, এমন কোন কথা তিনি বলেননি”।