‘খতমে বুখারী’ অনুষ্ঠান বিদয়াতের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে: দেওবন্দের মুহতামিম

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯

চট্রগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া (জমিরিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসা) পটিয়ার দাওরায়ে হাদিস সমাপনী বর্ষের হাদিস শাস্ত্রের সর্বোচ্চ হাদিসগ্রন্থ বুখারী শরীফের শেষ সবক ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী। তিনি তার আলোচনায় খতমে বুখারী প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে খতমে বুখারীর নামে বিভিন্ন প্রথা ও ইত্যাদি অনুষ্ঠান এমন মাত্রাতিরিক্তভাবে চলছে যে, তা বিদয়াতের পর্যায়ে পৗঁছে গেছে। সুতরাং, এসব আমাদের বন্ধ করা উচিৎ।

মাওলানা নোমানী বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দে বুখারী খতমের প্রথা নেই, কেউ জানে না কবে খতমে বুখারী হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বাইরে তেমন কেউ অবগত হন না।

আজ (২৫ মার্চ) সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জামিয়ার কেন্দ্রীয় মসজিদে জামিয়ার পরিচালক আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারির সভাপতিত্বে খতমে দরসে বুখারী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রাচীনতম দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী বুখারীর শেষ সবক প্রদান করেন।

এসময় তিনি বিদয়াত সংগঠিত হয় এমন অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান । তিনি আরও বলেন, জামিয়া পটিয়া বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মারকাযী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এই প্রতিষ্ঠানের কথার মূল্য থাকবে। অতএব আমি এই মারকায থেকে বাংলাদেশের সমস্ত মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানাব, দয়া করে আগামীতে এ সমস্ত বিদয়াত সন্নিকট অনুষ্ঠানাদি থেকে আপনারা নিজেদের বিরত রাখবেন।

জামিয়ার সহযোগী পরিচালক মাওলানা আবু তাহের নদভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জামেয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, সহ প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস ফকীহুদ্দীন মাওলানা হাফিজ আহমদ উল্লাহ, মাওলানা মুফতি রফিক উদ্দীন, মাওলানা মুফতি শামশুদ্দীন জিয়া, প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি প্রমুখ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন